যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকের ওপর চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

|

মার্কিন কূটনীতিকদের কর্মকাণ্ডের ওপর নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে চীন। শুক্রবার চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ে মার্কিন অ্যাম্বাসি ও কনস্যুলেটগুলোকে এ ব্যাপারে এক নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। খবর আলজাজিরার।

এ পদক্ষেপকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা কূটনীতিকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। বেইজিংয়ের এই পাল্টা পদক্ষেপ দুই দেশের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও বাজে রূপ নেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত চীনা কূটনীতিকদের কার্যক্রম সীমিত করতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

নতুন বিধি অনুযায়ী, চীনা কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন, দূতাবাসের বাইরে ৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে বা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আগেই মার্কিন প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করে বলেন, চীনে মার্কিন কূটনীতিকদের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হচ্ছে। তার জবাবে এ ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপ ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেয় বেইজিং। এবার সেটি বাস্তবে পরিণত করতে চলেছে তারা।

এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র লিজিয়ান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের নেয়া ভুল সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হচ্ছে। হংকংয়ের কনস্যুলেট জেনারেলসহ মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটের ওপর পারস্পরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে সম্প্রতি চীনাদের পক্ষ থেকে একটি কূটনীতিক নোট পাঠানো হয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, চীনা কূটনীতিকদের ওপর যে যে নিষেধাজ্ঞা তারই সমান ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। নতুন বিধিনিষেধ বেইজিংয়ের মার্কিন দূতাবাস ও চীনজুড়ে থাকা কনস্যুলেটের সিনিয়র কূটনীতিক ও অন্য কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে থাকবে চীনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যেতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে মার্কিন কর্মকর্তাদের। এছাড়া দূতাবাসের বাইরে ৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না কিংবা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো বৈঠকও নিষিদ্ধ।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চীনের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের ওপর ওয়াশিংটনের কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক বিঘ্নিত করেছে। যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রকে তার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানাতে সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলোর ওপর পারস্পরিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছে চীন, এর মধ্যে হংকংয়ের কনস্যুলেট জেনারেলও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের জুনে টেক্সাসের হাউস্টনে চীনের কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন। পাল্টা জবাবে চেংদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করে বেইজিং।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply