আরবদের নিয়ে ইসরায়েল সামরিক জোট গঠন করছে: পিএলও

|

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বাহরাইন-ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে পিএলও বলছে, মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনের একমাত্র পথ ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বন্ধ।

শান্তিচুক্তিকে তথাকথিত আখ্যা দিয়ে আরবদের নিয়ে ইসরায়েল সামরিক জোট গঠন করছে এমন অভিযোগও করে পিএলও। আর বিশেষজ্ঞরা বহুল আলোচিত এই শান্তিচুক্তিকে দেখছেন ‘বাণিজ্যচুক্তি’ হিসেবে। আর এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। শান্তিচুক্তির প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে তারা।

পিএলও’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. সায়েব এরেকাত বলেন, বাহরাইন ও ইসরায়েলের মধ্যে কখনওই যুদ্ধ ছিল না। আমিরাতের সাথেও না। বিবাদ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির মধ্যে। সেটার সমাধান করতে হবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এ অঞ্চলে নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এটাই একমাত্র পথ। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল তাদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে আরবদের ব্যবহার করছে। এ অঞ্চলে আরবদের ন্যাটো তৈরিতে কাজ করছে।

ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের নিশ্চয়তা ছাড়া যে কোনো শান্তিচুক্তি অর্থহীন বলে মত বিশেষজ্ঞদেরও। তাদের দৃষ্টিতে ইসরায়েলের সাথে আমিরাত ও বাহরাইনের চুক্তি কেবলই বাণিজ্য চুক্তি।

মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক আলি ইউনুস বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, অথচ ফিলিস্তিনির সাথে আলোচনা করেন না। ফিলিস্তিনি জনগণের কথা শোনেন না। এটাই হয়ে আসছে কয়েক দশক ধরে। বাহরাইন কিংবা আরব আমিরাত ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নয়, কেবল নিজেদের স্বার্থই দেখেছে।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত চারটি আরব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেলো দেশটি। বাহরাইনের পর সবার নজর এবার তাদেরই পরম মিত্র সৌদি আরবের দিকে। অবশ্য এ ইস্যুতে এখনও পুরোপুরি নিশ্চুপ বাদশাহ সালমান প্রশাসন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply