এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সম্পদ পাচারের অভিযোগ

|

দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন এবং তা বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছে এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক এম বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে কয়েক দফা চিঠি দিয়েও তাকে কমিশনে হাজির করা যায়নি। বিশ্লেষকরাও বলছেন, অর্থপাচার ঠেকাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া জরুরি।

অভিযোগ রয়েছে, অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক এবং নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান। অবৈধ উপায়ে উপার্জন করা সম্পর্দের বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। এমন অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক।

রাজধানীর জোয়ার সাহারায় অবস্থিত বিশাল ভবনের পাশাপাশি একই এলাকার জগন্নাথপুরে আছে এমন আরো একটি ভবন। এর বাইরে বসুন্ধরা বারিধারা এবং বনানীতেও আছে কয়েকটি প্লট, ফ্ল্যাট এবং ভবন। আর ময়মনসিংহের ভালুকায় আছে ১৪৮ বিঘা জমি রয়েছে সিংগাপুর প্রবাসী এম বদিউজ্জামানের। জমি এবং বাড়ি ছাড়াও অবৈধ উপায়ে উপার্জিত সম্পদ দিয়ে এ্যাডভান্স হোম এবং ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের বিপুল অংকের শেয়ার কিনেছেন এম বদিউজ্জামান।

প্রবাসী এই ব্যবসায়ী থাকেন গুলশানের র‌্যাংগস ওয়াটারফ্রন্ট-এ। এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে বাসায় গেলেও খুজে পাওয়া যায়নি। তার অবস্থান জানাতে পারেনি ভবনের কর্মচারীরাও।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন বলছে, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সে ২০ কোটি টাকা এনআরবি ব্যাংকে ৩০ কোটি টাকার শেয়ারসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ আছে। এর বাইরে অংগন রেস্টুরেন্ট, তানিয়া ইন্টারন্যাশনাল, তানিয়া ডেভেল্পমেন্টসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি মালিক বদিউজ্জামান ও তার পরিবার।

সম্পদের বিবরণী এবং অনিয়ম সম্পর্কে জানতে কয়েক দফা চিঠি দিয়েও হাজির করতে পারেনি দুদক। এনআরবি ব্যাংকে যোগযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাকে। বদিউজ্জামানের দুই স্ত্রীসহ পরিবারের সম্পদের হিসাব জানতে চেয়ে গেল সপ্তাহে আবারো চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বদিউজ্জামানের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৫২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। ২০১৪ সালে আয়কর নথি খোলেন তিনি। তবে এখনো আয়কর বিবরনী দাখিল করেননি।

হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচারেরও অভিযোগ বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply