করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন জমে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে

|

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন জমে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি- চলতি বছরই অন্তত ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বণ্টন হবে। আগামী মাসেই শুরু হতে পারে টিকাদান কর্মসূচি।

যদিও মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার দাবি, ২০২১ সালের জুনের আগে টিকা হাতে আসার সুযোগ নেই। নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্প প্রশাসন টিকা নিয়ে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।

বর্তমানে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষার তৃতীয় ও শেষ ধাপে রয়েছে, করোনাভাইরাসের কমপক্ষে ৯টি ভ্যাকসিন। গবেষণা শেষ না হতেই, যুক্তরাষ্ট্রের দুই বায়োটেক প্রতিষ্ঠান- মডার্না ও ফাইজারের সম্ভাব্য প্রতিষেধক কিনতে কয়েকশ’ কোটি ডলারের চুক্তি করে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-সিডিসির পরিচালক রাবার্ট রেডফিল্ড বলেন, “নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ জরুরি ব্যবহারের জন্য সীমিত পরিসরে টিকা আসলেও আসতে পারে। কিন্তু সাধারণ মার্কিনীদের জন্য যে ভ্যাকসিনের কথা বলা হচ্ছে, তা আসতে ২০২১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর লেগে যেতে পারে। এর আগে টিকাদান শুরু হওয়ার কোনো সুযোগই নেই।”

এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই উল্টো কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার দাবি- অক্টোবরেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে সরকার। আর বছর শেষ হওয়ার আগেই ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে মার্কিনীরা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “সিডিসি-প্রধান ভুল বলেছেন। আমরা এখনই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে প্রস্তুত। আগামী মাসেই ঘোষণা আসতে পারে। খুব দ্রুত টিকাদান সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনী আর অন্যান্যদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১০ কোটি ডোজ টিকা বণ্টন করা হবে। লক্ষ্য- আরও কম সময়ে এর চেয়েও বেশি টিকা সরবরাহ করা।”

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই করোনার টিকাদান শুরুর লক্ষ্যে চলতি মাসে ৫০ অঙ্গরাজ্যে চিঠি পাঠায় সিডিসি। কোনো টিকা শতভাগ কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার আগেই, এ নির্দেশ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

পরিবেশগত রোগতত্ত্ববিদ রবার্ট মরিস বলেন, “ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এখনও শতভাগ প্রমাণিত নয়। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে যেসব কথা বলছেন, তা সিডিসি এবং সরকারি গবেষকদের নজিরবিহীন চাপের মধ্যে ফেলেছে। পুরো বিজ্ঞানী সমাজের জন্য বিষয়টা ভীষণ বিরক্তিকর।”

৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটারদের সমর্থন টানতে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট, উঠেছে এমন অভিযোগও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply