নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার সঠিক তদন্ত চান রাব্বানী

|

ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন জিএস গোলাম রাব্বানী। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে তার ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ দাবি জানান তিনি।

রাব্বানী লেখেন, ইনবক্স-টাইমলাইন-কমেন্ট বক্সে একটি টাটকা নিউজ বেশ আলোচিত। গত রাতে ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সাহেবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। মামলার মূল আসামি হাসান আল মামুন। আর নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পিতভাবে লালবাগের নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর।

তিনি আরও লেখেন, স্পর্শকাতর এই মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে নুর সাহেবের পদ, রাজনৈতিক অবস্থান বা মতাদর্শ যেন কোনো নিয়ামক বা প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত না হয়। দ্রুততম সময়ে অভিযোগটির সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক, সে দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক আর নির্দোষ হলে দায়মুক্তি পাক, এটাই প্রত্যাশা।

উল্লেখ্য, গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় নুরসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক (২) মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।

এই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করলে সোমবার সেখান থেকে নুরসহ ৭ জনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোয় তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply