ভূমধ্যসাগরে উসকানিমূলক আচরণ এবং চাপপ্রয়োগ বজায় রাখলে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ। বৃহস্পতিবার, জোটের শীর্ষ সম্মেলনে আসে এ হুঁশিয়ারি। এদিকে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দাবি- সার্বভৌমত্ব-অধিকারের ওপর আঘাত এলে, জবাব পাবে প্রতিপক্ষ।
ভূমধ্যসাগরে সদস্যরাষ্ট্র গ্রিস ও সাইপ্রাসের সাথে তুরস্কের বিবাদ মেটানোর জন্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনে এমনটা জানান ইউরোপীয় নেতারা। তবে সাবেক অটোমান সাম্রাজ্যের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই একক সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাবিভক্ত জোট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অবশ্য আঙ্কারাকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দাবি- দেশটির সাথে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তারা; কিন্তু, সেটি কার্যকরে এরদোগান প্রশাসনকেও উদ্যোগী হতে হবে।
ইউরোপীয় নেতারা জানান, প্রতিবেশীদের সাথে ইতিবাচক-গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতেই আগ্রাসী আচরণ থেকে আঙ্কারার বিরত থাকা উচিৎ।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লেন বলেন, গ্রিসের সাথে আলোচনার জন্য তুরস্ক হটলাইন স্থাপন করেছে, এটা প্রশংসনীয়। কারণ, দেশটির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই আমরা। সেক্ষেত্রে, প্রতিবেশীদের ব্যাপারে আগ্রাসী মনোভাব থেকে সরতে হবে এরদোগান সরকারকে। ভূমধ্যসাগরে দেশটির উসকানি আর চাপপ্রয়োগ অব্যাহত থাকলে, নিষেধাজ্ঞা আরোপে বাধ্য হবে ইইউ।
একইদিন, পার্লামেন্টে রাখা ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান- দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান বজায় রাখলেই আসবে কাঙ্খিত সমাধান।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ভূমধ্যসাগরে কোন অন্যায়-অবিচার-উত্তেজনা-সংঘাত হলে; তুরস্ক প্রতিবাদ জানাবেই। একটাই শর্ত: আমাদের অধিকার-আইন এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রতি অন্যদের শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। এরওপর ভিত্তি করেই রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগোবে; নিরসন হবে ভুল বোঝাবুঝির।
আগস্টে, পূর্ব-ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান ঘিরেই উত্তেজনার সূত্রপাত। কারণ, বিতর্কিত অঞ্চলটির দাবিদার ইইউ-ন্যাটোর দুই সদস্যরাষ্ট্র গ্রিস ও সাইপ্রাসও। পরস্পরের প্রতি সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে, বেশ কিছুদিন চলে শক্তিমত্তা প্রদর্শন।
Leave a reply