আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতি

|

দক্ষিণ ককেশীয় ‘নাগোরনো-কারাবাখ’ ঘিরেই গেলো কয়েক দশকের আর্মেনিয়া-আজারবাইজান দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি, সহিংসতা ছড়ানোয় পার্বত্য অঞ্চলটি ফের আলোচনার তুঙ্গে। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতিও।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিদ্রূপ, পশ্চিমা বিশ্বের চাপপ্রয়োগ করলেও দীর্ঘদিন চলা সংঘাতের রাতারাতি সমাধান অসম্ভব। শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হতে ইচ্ছুক দেশগুলোর অভিযোগ- তুরস্কের উসকানির কারণেই বাড়ছে উত্তেজনা।

প্রতিরক্ষা মহলেও চলছে তুখড় বিশ্লেষণ। শত্রুপক্ষকে দমনে কার দৌড়, কতদূর সেসবও আসছে চর্চায়। বরবারই, সমরাস্ত্র আর নিরাপত্তা বহরের দিক থেকে এগিয়ে আজারবাইজান। অন্যদিকে স্থলবেষ্টিত আর্মেনিয়ার সবচেয়ে দুর্বল দিক- নেই নৌবাহিনী। একারণে, বর্হিবিশ্বের কাছে জাহিরের প্রবণতাটাও বেশি।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আর্তস্রুন হোভানিসান বলেন, বির্তকিত অঞ্চলটিতে শত্রুপক্ষের সাড়ে তিনশোর বেশি সেনাকে হত্যা করেছে আর্মেনিয়া; আহত ৬ শতাধিক। এখন পর্যন্ত- চারটি হেলিকপ্টার, ছয়টি ড্রোন আর ১৬টি মতো ট্যাংক-রকেট লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে।

সংঘাত নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও। মিত্র আজারবাইজানের ঢালাও পক্ষ নেয়ায় তোপের মুখে তুরস্ক। দেশটিরও অভিযোগ- চাপপ্রয়োগের মাধ্যমে রাতারাতি আসবে না সমাধান।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তুরস্কের পক্ষ থেকে খোলাখুলি আজারবাইজানকে সামরিক সহায়তার আশ্বাস দেয়া পুরোপুরি উসকানিমূলক। প্রথমতঃ এটি বিদ্যমাণ উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়া, শান্তি আলোচনার সম্ভাবনায় ফেলবে নেতিবাচক প্রভাব।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, গেলো ৩০ বছর ধরে যে সংঘাত বিদ্যামান; যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ-রাশিয়া হঠাৎই চাইছে তার অস্ত্রবিরতি। দখলদার’রা পার্বত্য অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ছাড়লেই কেবল সমাধান সম্ভব। কারণ, আজারবাইজান নিজেই এবার অধিকার আদায়ে সচেষ্ট।

জুলাইর পর, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফায় চলছে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত। বহু হতাহত, আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ, অস্ত্রবিরতি কার্যকরের আহ্বান সত্ত্বেও হচ্ছে না মীমাংসা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply