মিশরে সন্ধান মিলেছে আড়াই হাজার বছরের পুরোনো কফিন ও মমি

|

মিশরে সন্ধান মিলেছে আড়াই হাজার বছরের পুরোনো বেশ কিছু কফিন ও মমি’র। প্রতিটি কফিনে রয়েছে শৈল্পিক কারুকাজ এবং রং এর ব্যবহার। যা এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান সাক্কারা অঞ্চল থেকে সন্ধান মিলেছে এসবের। এটিকে অনন্য আবিষ্কার বলছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তাদের ধারণা, মমিগুলো প্রাচীন রাজবংশের সদস্য এবং যাজকদের।

মিশরে পুরাকীর্তি আবিষ্কার নতুন কিছু নয়, প্রায়ই প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন মেলে দেশটিতে। এবার সন্ধান পাওয়া গেছে অর্ধ শতাধিক কফিন এবং মমির। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, উদ্ধারকৃত এসব কাঠের তৈরি কফিন আড়াই হাজার বছরের পুরোনো।

ইউনোসকো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, প্রাচীনতম সাক্কারা এলাকার একটি সমাধীস্থল থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। পরে খুলে দেখা হয় কফিন গুলো।

মিশরের পর্যটক ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়কমন্ত্রী খালিদ আল আনানি বলেন, প্রাচীন সমাধিভূমি খননের পর ৫৯টি কফিনের সন্ধান মিলেছে। এখনও তিনটি খাদে কতোগুলো কফিন রয়েছে তা বলা মুশকিল। তাই আমাদের খনন কাজ চলবে।

প্রতিটি কফিনে আছে শৈল্পিক কারুকাজ এবং রংয়ের ব্যবহার। সন্ধানকৃত এসব কফিনে শুধু মানুষেরই নয়, আছে বেশ কিছু প্রাণির মমিও। হাজার হাজার বছর পরেও যা এখনও অক্ষত। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, প্রাচীন রাজবংশের সদস্য এবং যাজকদের মমি এগুলো।

পুরাকীর্তি বিভাগের সুপ্রিম কাউন্সিলের মহাসচিব মোস্তফা আল ওয়াজিরি বলেন, এটি আমাদের জন্য দারুন একটি আবিষ্কার। এতো বছর পরও এ কফিনের রং এবং শিলালিপি অক্ষত আছে। কারণ কাঠের কফিন গুলো সংরক্ষণ করা ছিলো খুবই শৈল্পিক ভাবে এবং পরিকল্পনা মাফিক।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় এর সন্ধান কাজ। উদ্ধারকৃত মমি এবং কফিন গুলো গ্রান্ড ইজিপশিয়ান জাদুঘরে রাখা হবে প্রদর্শনীর জন্য।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply