মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লাগামছাড়া খরচ, দুই প্রার্থীর খরচ ছাড়িয়েছে ২০০ কোটি ডলার

|

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই যেখানে নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা নির্ধারিত সেখানে ব্যাতিক্রম যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মানেই লাগামছাড়া খরচ। যুক্তরাষ্ট্রে এমন কোন বিধান না থাকায় প্রচারণায় ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারেন প্রার্থীরা। শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিলের বিধান রাখা হয়েছে কেবল।

ভোটের ৩ সপ্তাহ আগেই দুই প্রার্থীর ব্যয় ছাড়িয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে, প্রধান দুই প্রার্থীর খরচ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। গেল নির্বাচনে যেখানে এ সংখ্যা ছিলো প্রায় অর্ধেক। নির্বাচনী খরচের বেশিরভাগই ব্যয় হচ্ছে বিজ্ঞাপনে। জরিপ সংস্থাগুলো বলছে, মোট ব্যয় ছাড়াতে পারে ১০ বিলিয়ন ডলারের ঘর।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সেন্টার ফর রেসপন্সিভ পলিটিক্স প্রজেক্ট সিআরপির জরিপ বলছে নির্বাচন পর্যন্ত এ পরিমাণ ছাড়াবে ১ হাজার কোটি ডলারের ঘর। যা মার্কিন নির্বাচনের ইতিহাসে রেকর্ড। গেল নির্বাচনে যা ছিলো মাত্র ৭০০ কোটি ডলার। ২০০৮ নির্বাচনে এ পরিমাণ ছিলো আরও কম।

বিশাল এ খরচের অর্থের উৎসও ভিন্নমুখি। প্রার্থীদের পকেট বা দলীয় কোষাগার থেকে যেমন অর্থ এসেছে তেমনি সাধারন সমর্থকদের কাছ থেকেও তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে। যা দুই প্রার্থীর মোট তহবিলের ২২ শতাংশের বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থ এসেছে বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িদের কাছ থেকে যা প্রায় ৪০ শতাংশ।

আয় ও ব্যয় দুই ক্ষেত্রেই এগিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকারি হিসেবে আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৩৩ কোটি ডলারের তহবিল ট্রাম্পের। খরচও এর কাছাকাছি।

এদিকে, জো বাইডেনের তহবিল প্রায় ১০০ কোটি ডলারের। এরইমধ্যে এই প্রার্থী খরচ করেছেন ৭৩ কোটি ডলার।

বাইডেন-ট্রাম্প দুজনেরই ব্যয়ের বড় অংশ যাচ্ছে বিজ্ঞাপন খাতে। মহামারি পরিস্থিতিতে, শারীরিক দূরত্ব রক্ষার বাধ্যবাধকতায়, এবার বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণ। মূলধারার গণমাধ্যম টেলিভিশন-রেডিও’র পাশাপাশি, প্রার্থীরা বিপুল পরিমাণ বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, গুগল, ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমে। এছাড়া প্রচারণা কর্মীদের বেতন, সফর-সমাবেশের খরচ মেটাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন দুই প্রার্থী।

সিআরপি বলছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় থেকেই পর থেকেই অর্থ জমা পড়ছে ট্রাম্পের তহবিলে। বাইডেন তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন আরও পরে। জরিপ সংস্থাগুলো বলছে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনী খরচ বাড়বে প্রায় ৫ গুন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply