বাগেরহাটে পাট মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন

|

শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদ (ডানে)।

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ধর্ষণ-নির্যাতন ও চাকরী দেয়ার নাম করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের এপিএসের ভূয়া পরিচয় দিয়ে কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া ইউনিয়েনের চন্দ্রপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আবুল হাসেমের ছেলে শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের স্টিকারবাহী গাড়ি চড়ে এলাকায় নিজ নামে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছে।

এপিএসের ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে সরকারি চাকরী দেয়ার নাম করে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এলাকায় মাদকের ব্যবসার পাশাপাশি নারীদের সম্ভ্রমহানী করে এলাকা ছাড়া করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

মানববন্ধন থেকে প্রতারক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করা হয়। মানববন্ধন শেষে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ কর্মী মো. সোয়েব অভিযোগ করেন, তার বোনজামাই রেজাউল করিম রাসেলকে যমুনা ব্যাংকে চাকরী দেয়ার নাম করে দুই দফায় ৬ লাখ টাকা নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর ভূয়া এপিএস শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদ।

দীর্ঘদিন ধরে যমুনা ব্যাংকে চাকরী দিতে না পারায় এখন টাকা ফেরত চাইলে সে টাকা না দিয়ে উল্টো সোয়েবকে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বলে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করছে।

তবে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসির এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাঈদ জানান, এসব অপপ্রচার। আমি কখনো বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর এপিএস ছিলাম না। তবে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের স্টিকারবাহী গাড়ি চড়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply