নেত্রকোণায় ভাবিকে গলাকেটে হত্যার দায় স্বীকার

|

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার পূর্বধলায় গৃহবধূ লিপি আক্তারকে গলাকেটে হত্যার অন্যতম আসামি রাসেল মিয়া রোববার সন্ধ্যায় তার দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পূর্বধলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাসেল শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পায়। পরে রোববার তাকে নেত্রকোণার বিজ্ঞ আদালতে নেয়া হলে সেখানে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যায় আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৪ অক্টোবর) ভোরে পূর্বধলা উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী লিপি আক্তার নামের এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করে (তার স্বামীর চাচাত ভাই) দেবর রাসেল। এ সময় রাসেল নিজেও তার গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পড়ে বাড়ির লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

হত্যাকাণ্ডের সময় লিপির স্বামী আজিজুল বিজিবি’র পঞ্চগড় এলাকায় কর্মরত ছিলেন। আলিফ নামের তাদের ১২ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে লিপি বাড়িতেই থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও লিপির দেবর আজিজুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমচ্ছিলেন। রাসেল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লিপির ঘরে প্রবেশ করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ ঘটনায়, গত ৫ অক্টোবর নিহত লিপির বোন ফেরদৌসী বেগম বাদি হয়ে রাসেলসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply