যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যে দলেরই হন না অ্যারিজোনার ভাগ্য অপরিবর্তিতই থাকছে!

|

ছবি: সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যে দলেরই হন না কেনো; ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না মেক্সিকো সীমান্তবর্তী অ্যারিজোনার। বাসিন্দাদের অভিযোগ- অনুপ্রবেশ, মেক্সিকানদের আধিপত্য আর অপরাধ ঠেকাতে সব সরকারই ব্যর্থ।

২০১৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর অভিবাসী ঢল ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জোরদার করা হয় নিরাপত্তাও। এমনকি অভিবাসী পরিবারের সদস্যদের আলাদা রাখার মতো পদক্ষেপও নেন তিনি।

এসবের পরও কমেনি সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ। নির্বাচনের আগে এ নিয়েই ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারা বলছেন, কোন সরকারই সীমান্ত এলাকা অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

বাসিন্দারা বলছেন, সীমান্তে বেড়া দেয়ার পরও অব্যাহত আছে অনুপ্রবেশ। অনেকে ঢুকছে টানেল করে আবার কেউ লাফিয়ে আসছে। প্রায় প্রতি রাতেই এই চিত্র দেখা যায়। করোনায় এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। বাইডেন বা ট্রাম্প যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন। সুতরাং ক্ষমতার পরিবর্তনেও প্রভাব পড়বে না সীমান্ত সুরক্ষায়।

শুধু স্থানীয়রাই নয়, অভিবাসন নীতি নিয়ে ক্ষোভ আছে অভিবাসী ভোটারদেরও। বলছেন, নাগরিকত্বের জন্য পরিবার থেকে আলাদা থাকতে হচ্ছে; আরও নানান জটিলতা তো আছেই।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মেক্সিকান বাসিন্দা জুয়ান বোজোরকুইজ বলেন, আমার সন্তানের প্রথম সব কিছুই আমি মিস করেছি। তার প্রথম কথা বলা, প্রথম হাটতে শেখা, প্রথম দাঁত ওঠা কিছুই দেখতে পারিনি। সরকার পরিবর্তানের মাধ্যমে ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছি। যেন পরিবার নিয়ে থাকতে পারি এখানে।

৩ নভেম্বেরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন অভিবাসী ভোটাররা। দোদুল্যমান হিসেবে পরিচিত অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে ১১টি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply