টাঙ্গাইলে পরকীয়া যুগলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

|

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পরকীয়া প্রেমিক যুগলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের রাজাফৈর গ্রাম থেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে কালিহাতী থানা পুলিশ।

শুক্রবার বেলা ১২ টায় তাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ
করা হয়। নিহতরা হচ্ছে ওই গ্রামের মৃত বাছেদ মিয়ার ছেলে মো. শাজাহান (৪২) ও দেলোয়ার হোসেন
মেয়ে এবং একই এলাকার দানেজের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩৯)।

স্থানীয়রা জানায়, আলেয়া তার স্বামীর সাথে একই গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করতো। আলেয়ার বাড়িতে শাজাহান প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতো। এক পর্যায়ের তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেড় মাস আগে আলেয়া ও শাহাজাহন এলাকা থেকে উধাও হয়। পরবর্তীতে গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) শাজাহান ও আলেয়া গ্রামে ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের আমজাদ ও কাশেমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকে সমাধান হওয়ার কথা ছিলো। তবে রাতে ওই গ্রামের কয়েক যুবক তাদের গালিগালাজ ও চর থাপ্পড় মারে। শুক্রবার সকালে আলেয়ার আগের স্বামী দানেজের গোয়াল ঘর থেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। শাজাহানের এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং আলেয়ার ১১ বছরের এক সন্তান রয়েছে।

মেয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ের আত্মহত্যা করার কথা নয়। সে আত্মহত্যা করলে আগেই করতো। বাড়িতে এসে করতো না। তদন্ত সাপেক্ষে আমি সঠিক বিচার দাবি করছি।’

স্থানীয় ইউনিয়ন ইউপি সদস্য হামিদ মিয়া বলেন, ‘এটা আত্মহত্যা নয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে।’

বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছোহরাব আলী বলেন, ‘বিষয়টি রহস্যজনক। তাদের পা মাটিতে ঠেকানো ছিলো। মাটিতে রক্তও পড়েছিলো। এ ঘটনায় পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত দাবি করছি।’

পুলিশ কর্মকর্তা রাহেদুল ইসলাম বলেন, সকালে লাশ উদ্ধার করে বেলা ১২ টায় ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিষয়টি আত্মহত্যা। তবে মাটিতে একটু রক্ত পড়েছিলো। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সঠিক ঘটনা বের হয়ে আসবে।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply