রেকর্ড আগাম ভোটে পাল্টে যেতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমীকরণ

|

মার্কিন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৩ নভেম্বর। তবে রেকর্ড আগাম ভোটে পাল্টে যেতে পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের সমীকরণ। মহামারি পরিস্থিতিতে ভোট কম পড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বরং এই ভোটকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মার্কিনীরা। ফলে প্রচার-প্রচারণায় উম্মাদনা এবার কম হলেও নির্বাচনের এক সপ্তাহ বাকি থাকতেই, আগাম ভোট দিয়েছেন এক-চতুর্থাংশ ভোটার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যতোটা না বাইডেনকে জেতাতে, তার চেয়ে বেশি ট্রাম্পকে ঠেকাতে ভোট দিচ্ছেন অনিয়মতি ভোটাররাও।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সচরাচর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন ৪০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি, ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ভোট পড়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনে। আর, এবার নির্বাচনের এক সপ্তাহ বাকি থাকতেই ভোট পড়েছে প্রায় ৬ কোটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটার উপস্থিতি আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ভোট পড়তে পারে ১৫ কোটির বেশি।

মহামারি পরিস্থিতির কারণেই এবার মানুষের আগ্রহ বেশি আগাম ভোটে। ৩ নভেম্বর ভোটকেন্দ্রে ভিড়, গাদাগাদির ভয়ে আগেই, ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন অনেকে। অনেকে আবার কেন্দ্রে না গিয়ে, ডাকে ভোট পাঠাচ্ছেন। মেইল-ইন ব্যালটের স্বচ্ছতা ট্রাম্পের সংশয় উপেক্ষা করেই, ৪ কোটি মানুষ ডাকে ভোট দিয়ে ফেলেছেন।

ওহাইও’র রিপাবলিকান দলীয় রাজ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্র্যাঙ্ক লারোজ বলেন, “বিপুলসংখ্যক বাসিন্দার মেইল-ইন ভোটে আস্থা নেই। তাদের আশ্বস্ত করে বলছি, যদি কোনো প্রার্থীকেই ভোট নাও দিতে চান, তাহলেও অনুপস্থিতির ব্যালটটি পাঠানোর সেরা উপায়- মেইল।”

অনেকে অবশ্য বলছেন, করোনার ভয় আগাম ভোট বেশি পড়ার একমাত্র কারণ নয়। যারা সচরাচর ভোট দেন না, এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের লক্ষ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় ঠেকানো।

রাজ্যভেদে সর্বোচ্চ দেড় মাস ও সর্বনিম্ন পাঁচদিন আগাম ভোট দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ভোটাররা। অবশ্য, ডাকে বিপুল ভোট পড়ায় গণনা ও ফল ঘোষণায় বিলম্বের শঙ্কা আছে অনেকের।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply