নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দেহরক্ষীসহ ফের ২ দিনের রিমান্ডে ইরফান সেলিম

|

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান এ আদেশ দেন।

আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে ধানমন্ডি থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ফের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মবিনুল ইসলাম ইসলাম। আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগী জাহিদের তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গত রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় সোমবার ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওয়াসিফ। মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ বলেন, রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।

ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামেন। এ সময় গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিন জন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে নেমে আসেন এবং মারধর শুরু করে। আসামিরা তাদের হত্যার হুমকিও দেয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply