মার্কিন নির্বাচনে আগাম ভোট দিলেন কত মার্কিনী?

|

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটদান। নির্বাচনের দু’দিন বাকি থাকতেই, আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন বেশিরভাগ ভোটার। কেবল ডাকেই ভোট পড়েছে প্রায় ৬ কোটি। বিপুল মেইল-ইন ভোটের ফলে ফল ঘোষণা কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের। এ অবস্থায় মেইল-ইন ব্যালটের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় জানিয়ে সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

একদিন পরই নির্বাচন। তাও আগাম ভোটের শেষ দিনে এমন অপ্রত্যাশিত ভিড়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের ভোগান্তি কমাতে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিল বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা।

রাজ্যভেদে সর্বোচ্চ দেড় মাস ও সর্বনিম্ন পাঁচদিন আগাম ভোট দেয়ার সময় শেষ হয় রোববার। এর মধ্যেই ভোটদান সম্পন্ন করেছেন রেকর্ড সাড়ে ৯ কোটি মার্কিনী। যা ২০১৬ সালের মোট ভোটার উপস্থিতির ৭২ শতাংশ। মূলত: মহামারির কারণে এবার মানুষের আগ্রহ বেশি আগাম ভোটে।

শুধু করোনা নয়, আগাম ভোট পড়ার অন্যতম কারণ ট্রাম্পের জয় ঠেকানো এমনটা মনে করছেন অনেকে। যাদের বেশিরভাগই ট্রাম্পের ৪ বছরের শাসনামলে একেবারেই সন্তুষ্ট নন।

ফ্লোরিডাসহ নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত রাজ্যগুলোতে আগাম ভোট পড়েছে সবচেয়ে বেশি। অনেকে আবার কেন্দ্রে না গিয়ে, ডাকে ভোট পাঠাচ্ছেন। মেইল-ইন ব্যালটের স্বচ্ছতা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সংশয়ের মধ্যেই, ৬ কোটি মানুষ ডাকে ভোট দিয়ে ফেলেছেন। ডাকে বিপুল ভোট পড়ায় গণনা ও চূড়ান্ত ফল ঘোষণায় লেগে যেতে পারে কয়েক সপ্তাহ। তবে একারণে ভোটগণনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কারচুপির শঙ্কা যৌক্তিক নয় বলে মত বিশ্লেষকদের।

অধ্যাপক জোশুয়া গেল্টজার বলেন, “নজিরবিহীন সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছেন। মোট ভোটারের অর্ধেকই ভোটদান সম্পন্ন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ নির্বাচনের দিনের ভোটগ্রহণ তো এখনও বাকি। এ অবস্থায় দু’একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল জানা সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু এতে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।”

সবশেষ ২০০০ সালের নির্বাচনের এক মাসেরও বেশি সময় পর, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে জর্জ ডব্লিউ বুশের চূড়ান্ত জয় নিশ্চিত হয়েছিল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply