গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশে ছিলেন আকবর; পালিয়েছিলেন সিনিয়রদের পরামর্শে

|

রায়হান হত্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশে ছিলেন মামলার প্রধান আসামি ও পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। সোমবার তিনি যখন ধরা পড়েন তার মুখে দাড়ি ছিল। তার গলায় ছিল পুঁতির মালা। মাথার চুলের স্টাইল পরিবর্তন করে তিনি খাসিয়াদের কাছাকাছি বেশভূষা ধারণের চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু ছদ্মবেশ ধারণ করেও গ্রেফতার এড়াতে পারেননি এসআই আকবর।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে সিলেটের কানাইঘাট এলাকার ডোনা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে স্থানীয় খাসিয়ারা। পরে তারা তাকে তুলে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি’র কাছে। পরে তাকে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। ধরা পড়ার পর আকবর দাবি করে, সিনিয়রদের পরামর্শেই পালিয়ে গিয়েছিল সে।

রায়হান হত্যাকাণ্ডের ২৯ দিন পর গ্রেফতার সিলেটের আলোচিত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরকে ধরার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

এতে দেখা যায়, কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকার একটি জঙ্গলে স্থানীয় লোকজন সবুজ রঙের রশি দিয়ে আকবরের দুই হাত ও দুই পা বেঁধে রেখেছেন। এ সময় এক যুবককে বলতে শোনা যায় মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য নিরপরাধ একটা ছেলেকে মেরে ফেলেছে আকবর। তখন আকবর বলেন, আমি মারিনি ভাই। আমি তারে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আল্লাহর দোহাই লাগে আমারে বাঁধিয়েন না।

গত, ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করার পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার হয় রায়হানকে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply