পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল হত্যা: ডা. মামুনের জামিন, চিকিৎসকদের স্বস্তি

|

পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন জামিন পেয়েছেন। তার জামিনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক নেতারা।

রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তার জামিন মঞ্জুর করেন।

ডা. মামুনের মুক্তির দাবিতে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানিয়ে আসছিল। চেম্বারে সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা রোগী দেখা বন্ধ রেখেছিল মনোরোগ চিকিৎসকরা। আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিল চিকিৎসকরা।

এমন পরিস্থিতির মাঝেই জামিন পেলেন ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর ডা. মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। সেদিনই তাকে রিমান্ডে পাঠান আদালত। এরপর ২০ নভেম্বর পাঠানো হয় কারাগারে।

ডা. মামুনের জামিনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী। যমুনা নিউজকে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা আরও কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সেদিকে যাইনি। এই বিষয়টি আমরা আইনিভাবে মোকাবেলা করবো, যেন ভবিষ্যতে এমন দৃশ্যের অবতারণা না হয়।

আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান বলেন, যেভাবে একজন চিকিৎসককে হাতকড়া পরিয়ে কর্মস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটি কখনও কাম্য হতে পারে না। কোনো ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগে এমন আচরণ কোনো বিধির আওতায় পড়ে না। আমরাও পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুতে শোকাহত। পাশাপাশি, চিকিৎসক ও রোগীর যে পবিত্র সম্পর্ক সেটির যেন মর্যাদাহানি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এই দৃশ্য চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে যে ভবিষ্যতেও এমন হেনস্তার শিকার হতে পারেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসার নামে জ্যেষ্ঠ এএসপি আনিসুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আনিসুলের পরিবারের অভিযোগ, আনিসুলকে তিনিই মাইন্ড এইডে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অবশ্য, পুলিশের এই বক্তব্য নাকচ করেছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। তাদের দাবি, আনিসুলের চিকিৎসক স্বজনরাই তাকে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি না করে মাইন্ড এইডে নিয়ে গিয়েছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply