ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় দশ নিঃসন্তান দম্পতি

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আনুমানিক ৬ মাস বয়সী ছেলে শিশুটিকে দত্তক নিতে চায় দশ নিঃসন্তান দম্পতি। ইতোমধ্যেই তারা শিশুটিকে দত্তক নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সদর মডেল থানার সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে।

কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামের একটি সড়কের পাশে শিশুটিকে পাওয়া যায়। শিশুর কান্না শুনে গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার কলাগাছের ঝোপে গিয়ে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় শিশুটি দেখতে পায়। পরে তারা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ পুলিশকে অবহিত করেন।

রাতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। কোনো অভিভাবক না থাকায় নার্সদের সাথে জহিরুল ইসলাম দম্পতি শিশুটিকে দেখাশুনা করছে। শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক না পেলে জহিরুল ইসলাম দম্পতি এই শিশুটির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তারা বলেন, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তারপরও সরকার যদি শিশুটিকে আমাদেরকে দিয়ে দেয় তাহলে সন্তানদের মতো তাকেও মানুষ করার চেষ্টা করবো। ২০ বছর পরেও যদি শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক এসে ছেলেকে দাবি করে তাহলে আমরা তাকে তার প্রকৃত মায়ের হাতে তুলে দিব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, শিশুটি বর্তমানে ভালো ও সুস্থ আছে। যদি প্রকৃত অভিভাবকদের না পাওয়া যায় তাহলে সমাজসেবার মাধ্যমে তাকে শিশু পরিবারে হস্তান্তর করা হবে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম বলেন, এখনো শিশুটির কোনো অভিভাবক পাওয়া যায়নি। শিশুর পরিবারের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। অভিভাবক না পেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুটির পরবর্তী অবস্থান কোথায় হবে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতাল ও সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যেই দশ নিঃসন্তান দম্পতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply