শামসুরের ছয়ে ম্লান হয়ে গেল মাশরাফীর প্রত্যাবর্তন

|

৬ বলে দরকার ৯ রান। জিতলে আরও একবার খুলনাকে হারানোর স্বাদ পাবে চট্টগ্রাম। সেটি কী আর সহজে হতে দেয় তারকাবহুল খুলনা? ফলে সেই ম্যাচ গিয়ে ঠেকলো ১ বলে ২ রানের শ্বাসরুদ্ধকর সমীকরণে। ব্যাটিং অ্যান্ডে নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় থাকা শামসুর রহমান শুভ, বোলিং অ্যান্ডেও একই তৃষ্ণা নিয়ে থাকা পেসার আল আমিন হোসেন। জয় হলো শুভরই। শেষ বলটিতে ছয় হাকিয়ে ৩ উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিলেন তিনি। ফল জয় দিয়ে রাঙানো হলো না মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ।

অথচ এর আগে, ম্যাশ-সাকিব-হাসান মাহমুদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে নিয়েছিল খুলনা। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে সাকিব ২টি ও হাসান মাহমুদ ১টি করে উইকেট নেন। আলাদা করে বলতে হয় মাশরাফীর কথা। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। তবে তার বোলিংয়ের বৈচিত্র্য বুঝাতে নিশ্চিতভাবে ব্যর্থ স্কোরকার্ড। দারুণ সব আউটসুইঙ্গারের পাশাপাশি ভেতরেও বল ঢুকিয়েছেন ম্যাশ। বিশেষ করে তার চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে মোসাদ্দেক বিশাল এক ছয় হাকানোর পরের বলে বুদ্ধিদীপ্ত ইনসুইংয়ে যেভাবে তার উইকেট ভাঙলেন সেটি নজর কাড়বে যেকোনো ক্রীড়ামোদির।

কিন্তু শেষ হাসি আর হাসতে পারলেন কই? ৫ চার ও ১ ছয়ে সাজানো শামসুর রহমান শুভর ৩০ বলে ৪৫ রানের ইনিংসটি ম্লান করে দিলো ম্যাশের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচটি। শেষ বলের ছয়ে খেলার ফলাফল নির্ধারিত হলেও, মূল নিয়ামক কিন্তু ১৯-তম ওভারটিই। শুভাগত হোমের করা সেই ওভারের প্রথম বলেই নাহিদুলের ক্যাচ ফেলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেই ওভারের শেষ বলে তাকে জহুরুল তালুবন্দি করলেন বটে তবে তার আগে ২ ছয়সহ ১৬ রান তুলে নিয়ে খুলনাকে ভুলের মাশুল ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিলেন নাহিদুল। তারপর ক্রিজে নামা মোস্তাফিজ শেষ ওভারের প্রথম বলটি নষ্ট করলেও দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে ম্যাচে ফেরান চট্টগ্রামকে। এরপর শুভকে স্ট্রাইকও দেন। কিন্তু শুভ সিঙ্গলস নিয়ে জমিয়ে তোলেন খেলা। শেষ বলের হিসেব চুকাতে না পারলে কোচ সালাউদ্দিনের খাতায় নেগেটিভ মার্কিং যে পেতেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবু ম্যাচ জেতানোর পর কোচ মনে করিয়ে দিতে ভুললেন না, সেই সময় সেই সিঙ্গেলসটি নেয়া ছিল তার ভুল! ভুল শোধরালেন শুভ, কিন্তু রিয়াদের ক্যাচ মিসের ভুল যে আর শোধরানো গেলো না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply