রিয়াদের ব্যাটেই ফাইনালে ১৫৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ খুলনার

|

বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালে গাজীগ্রুপ চট্টগ্রামকে ১৫৬ রানের টার্গেট দিয়েছে জেমকন খুলনা। শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান তোলে খুলনা। জবাবে ১৫৬ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করছে লিটন সৌম্যদের চট্টগ্রাম।

বিকেলে টস জিতে ফিল্ডিং নেমে দুই স্পিনার নাহিদুলের হাতে বল তুলে দেন মিঠুন। অধিনায়কের এই ভরসার প্রতিদান ঠিকই দিয়েছেন এই স্পিনার। ম্যাচের প্রথম বলেই দারুণ ছন্দে থাকা খুলনার ওপেনার জহুরুল ইসলামকে ব্যক্তিগত ০ রানে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের দর্শকদের আনন্দে ভাসান নাহিদুল। মিড অফে দাঁড়িয়ে জহুরুলের ক্যাচটি লুফে নেন মোসাদ্দেক।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও নাহিদুলের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত খুলনা। চতুর্থ বলে ইমরুল কায়েসকে ব্যক্তিগত ৮ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে চট্টগ্রামকে কক্ষপথে রাখেন এই স্পিনার। লং অফে ফিলডিং করা সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পরেন ইমরুল কায়েস।

ম্যাচের ৬.৩ ওভারে জাকির হোসেনকে ফিরিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন মোসাদ্দেক। দলীয় ৪৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা। ডিপ মিডউইকেটে জাকির হোসেনের ক্যাচটি হাতে জমান অতিরিক্ত খেলোয়ার হিসেবে মাঠে নামা মাহমুদুল হাসান জয়। মাঠ ছাড়ার আগে জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।

৭.২ বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদ থেকে বেঁচে যান খুলনার ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বোলার রাকিবুলের দুর্দান্ত বলে পুরোপুরি পরাস্ত হন রিয়াদ। এলবিডাব্লিউয়ের অবেদন করেন রাকিবুল আম্পায়রও আঙ্গুল উচিয়ে আউট ঘোষণা করলেও রিভিউ নিয়ে প্রাণে বাঁচেন রিয়াদ। রাকিবুলের করা বলটি প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে ছুয়ে গিয়েছিল রিয়াদের। নতুন জীবন পেয়ে আরিফুলকে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন রিয়াদ। কিন্তু ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে চট্টগ্রামের পেসার শরিফুলের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেয় উইকেটের পেছনে থাকা লিটন। ২৩ বলে ২১ রান করেই থেমে যায় আরিফুলের ইনিংস।

তারপরও দলের হাল ছাড়েননি রিয়াদ। প্রতিপক্ষের পেসারদের রিতিমত শাসন করেছেন শুভাগত হোমকে সাথে নিয়ে। তবে ক্যাপ্টেনকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি শুভাগত। ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানে শরিফুরের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। জুনিয়র পেসারের বলে ক্যাচটি নেন সিনিয়র মোস্তাফিজ। খুলনাকে আবারও হতাশ করেন শামিম হোসেন ব্যাটিংয়ে নেমেই রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়ানে ফেরেন ০ রানেই। মাহমুদুল হাসান জয়ের থ্রোতে আরও একটি উইকেটের পতন ঘটে খুলনার।

এবার মাহমুদুল্লাহ দলের রান এগিয়ে নেয়ার মিশন শুরু করেন মাশরাফীকে সাথে নিয়ে। কিন্তু তিনিও হতাশ করে ব্যক্তিগত ৫ রানেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। মুস্তাফিজুরের বলে মাশরাফীর ক্যাচটি ধরেন সৌম্য।

শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে রিয়াদের অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল ও শরিফুল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply