চাক্ষুষ সাক্ষী থাকতেও মেয়ে হত্যার বিচার চান না বাবা

|

মেয়ে হত্যার বিচার চান না বাবা। আজ এমনই এক মামলা এসেছে হাইকোর্টে। অথচ খুনের অভিযোগ প্রমাণিত, আছে চাক্ষুষ সাক্ষীর জবানবন্দিও। পটুয়াখালীতে সাথী আক্তার নামে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামীকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে।

মামলার বাদি ও নিহতের বাবার দাবি, প্ররোচিত হয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। তাই বাদির বিরুদ্ধেই মামলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি বদরুজ্জামানের বেঞ্চ।

২০১৮ সালে ৩১ ডিসেম্বর পটুয়াখালী সদরে সাথী আক্তার নামে এক নারী নিহতের ঘটনা ঘটে। পরে মেয়ের জামাই কাওসার গাজীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুল জলিল দুয়ারী। মামলায় তার মেয়েকে নির্যাতনে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানোর অভিযোগ করেন। এমনকি কাওছার আলীর মেয়েও মায়ের খুনের জন্য বাবাকে দায়ী করে জবানবন্দি দেন আদালতে। পুলিশের তদন্তেও প্রমাণ মেলে এসব অভিযোগের।

কিন্তু ঘটনার ৭ মাস পর মামলা চালাতে অপারগতা জানান বাদি আব্দুল জলিল দুয়ারী। আদালতে দেয়া এফিডেভিটে, মেয়ে জামাইকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, প্ররোচিত হয়ে হত্যা মামলাটি করেছেন। তাই অব্যাহতি চান মেয়ের জামাই কাওসার আলীর। তবে কেন মেয়ে হত্যার বিচার দাবি থেকে পিছু হটলেন জলিল দুয়ারী?

জানতে চাইলে নিহত নারীর বাবা এবং মামলার বাদি আব্দুল জলিল দুয়ারী জানান, আমি তো মেয়েকে মেরে ফেলতে দেখিনি। যেহেতু আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি জানি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। তাই মামলা তুলে নিয়েছি।

এদিকে আদালতে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় বাদির বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে জামিন দেয়া হয়েছে আসামি কাওসার গাজিকে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ জানান, বাদি নিজে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি জানান তার মেয়ে জামাই তার মেয়েকে হত্যা করেনি। তিনি প্ররোচিত হয়ে জামাইয়ের নামে মিথ্যা মামলা করেছিলেন। আদালতে এই ধরনের মিথ্যে তথ্য দেয়া অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আইনানুযায়ী বাদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply