ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় বাংলাদেশ প্রথম ভ্যাকসিন পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি।

ভ্যাকসিনের জন্য একক কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে চায় না বাংলাদেশ। এই অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, চীনা টিকার ট্রায়ালে নীতিগতভাবে আপত্তি নেই সরকারের। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি তিনি। আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বলছে, স্বাক্ষরিত চুক্তির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখানকার ঔষধ প্রশাসন অনুমোদন দেয়ার মাসখানেকের মধ্যেই ভারত থেকে টিকা পাওয়া যাবে। যদিও ভ্যাকসিন আনার দিনক্ষণের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী অন্যতম ভারতের প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। তারা আপাতত টিকা রফতানি করতে পারবে না, এমন খবর প্রকাশ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে কিছু জানায়নি। এদিক থেকে যোগাযোগের পর সেরাম জানায়, সই হওয়া চুক্তিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদেরকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে সেটি পালন করা হবে। ওরা বলেছে, ভ্যাকসিনের বিষয়ে অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। কিন্তু যেহেতু একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলাপ করে এটা হয়েছে, কাজেই বাংলাদেশ প্রথম টিকা পাবে। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা এখানে কার্যকর হবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এই ভ্যাকসিন অনুমোদন করেনি। সেক্ষেত্রে এটি ভারত পাঠালেও তা কী মানবদেহে প্রয়োগ করতে পারবে বাংলাদেশ- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অনুমোদনের অপেক্ষায় করছি। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই আমরা ভ্যাকসিন আনবো।

অন্য দেশের জন্য রফতানি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভারত থেকে বাংলাদেশ দ্রুতই ভ্যাকসিন পাবে বলে বিশ্বাস ডক্টর মোমেনের।

এদিকে, সম্প্রতি চীনা কোম্পানি আনুই জিফেইর তাদের খরচে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল করতে প্রস্তাব দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে। এর আগে, দেশটির সিনোভ্যাকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল ঢাকা। এবার কী করবে সরকার? পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, বাণিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রেই কোনো একক রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করতে চায় না বাংলাদেশ। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও এই নীতি নেয়া হবে। চীনা টিকার ট্রায়ালে নীতিগতভাবে আপত্তি নেই সরকারের।

এর আগে, ভ্যাকসিনের জন্য ভারতকে অগ্রিম ১২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানোর তথ্য জানালেও তবে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে টিকা পাওয়ার বিষয়ে এখনই নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, চুক্তিতে আছে ভারতের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর বাংলাদশকে দিবে। এর আগে তারা নিজেদের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply