‘এক টাকার কাবিনে’ বিয়ে সম্পন্ন

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

এতদিন ‘এক টাকার কাবিন’ শুনলে চিত্র নায়ক শাকিব খান ও চিত্র নায়িকা শাবনুর অভিনীত বাংলা চলচ্চিত্র ‘এক টাকার বউ’ বোঝা যেত। কিন্তু সিনেমার এক টাকা কাবিনের গল্প পর্দা থেকে চলে গেছে বাস্তবে। সম্প্রতি ফরিদপুরে ‘এক টাকা কাবিনে’ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন দুই তরুণ-তরুণী।

শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী মহল্লার মেজবান পার্টি সেন্টারে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের কনেই কাবিনে দেন মোহর বাবদ ১ টাকা দাবি করেন আর তার দাবির প্রেক্ষিতেই ১ টাকা দেনমোহরে কাবিন সম্পন্ন হয়।

রোববার শহরের ঝিলটুলিস্থ অম্বিকা পৌর অডিটোরিয়ামে এই নব দম্পতির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিয়ের কনে বিপাশা আজিজ (২৫) মাদারীপুরের সাহেবের চর মহল্লার বাসিন্দা আজিজুল হক ও নাসরিন সুলতানার একমাত্র মেয়ে। তবে তারা ফরিদপুর শহরের আলীপুর এলাকায় বসবাস করে।

কনে বিপাশা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন। বর আশীকুজ্জামান চৌধুরী (৩০) পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও তাহমিনা চৌধুরীর ছেলে।

পারিবারিক ও বিয়েতে অংশ নেয়া অতিথিদের কাছ থেকে জানা গেছে, কনে বিপাশা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন তার বিয়ের কাবিন হবে ১ টাকার। পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনাও করে রেখেছিলেন তিনি।

অংশ নেয়া অতিথি সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের কাজি কাবিনে দুই লক্ষ টাকা লিখেছেন, কনে ও তার পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে সেটা পরিবর্তন করে ১ টাকা লেখান সেখানে।

বিয়েতে অংশ নেয়া ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন বাবর বলেন, সাধারণত দেখা যায় কনেপক্ষই দর-কষাকষি করে কাবিনের সময় দেনমোহর বাড়িয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা।

অপরদিকে নারী নেত্রী শিপ্রা গোস্বামী জানান, মুসলিম রীতি অনুযায়ী দেহমোহর নারীর অধিকার। এখানে আবেগের কোন স্থান নেই। কনে এখন সচ্ছল, ভবিষ্যতে তো সচ্ছল নাও থাকতে পারে।

আলোচিত এই বিয়ের বর আশীকুজ্জামান জানান, আসলে ব্যপারটি একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক। আমরা কেউই চাইনি বিষয়টি জানাজানি হোক বা মিডিয়াতে আসুক। কিন্তু কেউ বিষয়টি ফাঁস করেছে। ব্যাপারটি নিয়ে আমরা বিব্রত। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আর মিডিয়াতে কথা বলতে চাচ্ছি না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply