বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ-বর্জনের মধ্যেই অংশগ্রহণমূলক ভোট

|

বেশ কিছু স্থানে সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ’সহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের ৬০ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ। অনিয়মের অভিযোগে তিনটি পৌরসভায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি’র প্রার্থীরা। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।

তবে অল্প সময়ের মধ্যে কোথাও কোথাও পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। পাবনার ঈশ্বরদীতে পুলিশের সামনেই বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীকে মারধরের পর কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাগেরহাটের মোংলায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফেনীর দাগনভূঞায় একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য’সহ আহত হন দু’জন। কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষে জড়ায় তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। অনিয়মের অভিযোগে বাগেরহাটের মোংলা, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীরা।

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় একই সুরে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই; দলের হাইকমান্ড নিশ্চয়তা দিয়েছে ভোট সুষ্ঠু হবে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে; কোথাও সমস্যা নেই। ফল যাই হোক তা মেনে নেবেন বলেও জানান তিনি। এই পৌরসভায় ভোর থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। শীত উপেক্ষা করে সাড়ে ছয়টা থেকেই ভোটাররা লাইনে দাঁড়ান।

উল্লেখ্য, এবার ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ইভিএমে ভোট হচ্ছে ২৮টিতে। বাকি ৩২টিতে ব্যালটে ভোট নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে র‍্যাব ও বিজিবি। ৬০টি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ হাজার ২৮৬ প্রার্থী। ভোটারের সংখ্যা ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply