শুভ জন্মদিন জাভেদ আখতার

|

শুভ জন্মদিন জাভেদ আখতার

কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের আজকের এইদিনে (১৭ জানুয়ারি) জন্মগ্রহন করেন তিনি।

জাভেদ আখতার ভারতের মূলধারার একজন লেখক এবং তার বেশিরভাগ সফল এবং জনপ্রিয় কাজগুলো সেলিম খানের সাথে করেছেন। তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১০টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন।

জাভেদ আখতারের আসল নাম ছিলো জাদু। তার বাবার লেখা একটা কবিতা “লম্বা, লম্বা কিসি জাদু কা ফাসানা হোগা” থেকে এই নাম নেওয়া হয়। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ‘জাদু’ নামের সাথে মিল রেখে জাভেদ নাম নেন।

জাভেদ আখতার লখনউয়ের কলভিন তালুকদার কলেজ এবং মিন্টো সার্কেলে পড়াশোনা করেন। তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশান পাস করেন।

১৯৬৪ সালের ৪ অক্টোবরে আখতার মুম্বাই আসেন এবং চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন কিন্তু ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি কোনো কাজ নিতে সমর্থ হননি। এর পর সেলিম খানের সাথে প্রথম জাভেদ আখতারের সাক্ষাৎ হয় সরহাদি লুটেরা ছবি তৈরির সময়। এই ছবি ছিলো সেলিম খানের সর্বশেষ অভিনীত ছবিগুলোর একটা। এরপর তিনি চিত্রনাট্য লেখার দিকে মন দেন। এই সময় থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সেলিম খান চিত্রনাট্য লিখতেন আর জাভেদ আখতার তাকে ডায়ালগ দিয়ে সাহায্য করতেন। সেই সময় থেকে তারা সেলিম-জাভেদ জুটি নামে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৮২ এর আগ পর্যন্ত তারা এভাবেই কাজ চালিয়ে যান।

রাজেশ খান্না প্রথম সেলিম খান এবং জাভেদ আখতারকে তার হাতি মেরে সাথি চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ দেন।

এছাড়াও তাদের ব্যবসাসফল জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে- যাদু কি বারাত, জাঞ্জির, হাত কি সাফাই, দেবর, শোলে, প্রেমাদা কান্নিকি, চাচা ভাতিজা, ডন, ত্রিশূল, মনুশুলু চেছিনা দঙ্গালু (তেলেগু ছবি), যুগনধার, দোস্তানা, ক্রান্তি, জামানা এবং মি. ইন্ডিয়া। তারা একত্রে প্রায় ২৪টির মত চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তাদের লেখা ২৪টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ২০টি ব্যবসাফল হিট চলচ্চিত্র। তারা ১৯৮২ সালের ব্যক্তিগত বিষয়ের কারণে আলাদা হয়ে যান। সেলিম-জাভেদ জুটিকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সফল চিত্রনাট্যকার হিসাবে বর্ণনা করা হয়।

আখতার ২০০৯ সালের ১৬ই নভেম্বর রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন।

আখতার হানি ইরানির সাথে বিয়ে করেন এবং এখানে তার দুই সন্তান ফারহান আখতার এবং জয়া আখতার জন্মগ্রহণ করে। ফারহান এবং জয়া দুজনেই অভিনয় করছেন। বাবা আখতার আর ছেলে ফারহান বেশ কিছু ছবিতে এক সাথে কাজ করেছেন যেমন দিল চাহতা হ্যায়, লক্ষ্য, রক অন!! এবং জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা মেয়ে জয়ার সাথে।

জাভেদ আখতার হানি ইরানিকে তালাক দেন এবং উর্দু কবি কাইফি আজমির মেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে বিয়ে করেন।

তিনি পাঁচ বার জাতীয় পুরস্কার পান, এছাড়াও পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন। সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন তার কবিতা সংগ্রহ “লাভা”র জন্য। ২০২০ সালে তিনি ‘রিচার্ড ডকিন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply