সুন্দরবনের দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বাঘের দল

|

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সুন্দরবনের দলবদ্ধ বাঘ ধরে নিয়ে গেছে দুই জেলেকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জেলে ও বাওয়ালীরা জানায়, সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খালে ভাটার সময় কাঁকড়া শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে এমন দুই জেলেকে ধরে নিয়ে যায় বাঘ।

বুধবার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের রতন (৩৫) মিজানুর (৩৯) ও আবু মুছা (৪০) কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে আবু মুছা রতনের স্বজনদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়, বিকালে বনের মধ্যে তালপট্টি এলাকায় খালে কাঁকড়া ধরার সময় রতন ও মিজানুরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।

এসময় সে দৌঁড়ে বনের ভেতর উঁচু গাছের মগডালে উঠে আত্মরক্ষা করে। তবে গাছের ডালে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে নীচে এসে মিজানুর ও রতনকে আর খুঁজে পায়নি আবু মুছা। সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আবু মুছা বিষয়টি রতন ও মিজানুরের পরিবারকে জানায়।

স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী (সুন্দরবনাঞ্চল) নুরনবী ইসলাম ইমন জানান, রতন ও মিজানুর গত বুধবার বনে যায়। তারা ফিরে আসেনি। তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাদের বাঘে ধরেছে এমন খবর পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যরা নৌকা ও ট্রলার নিয়ে বনের অভ্যন্তরে খুঁজতে রাতেই রওনা হয়েছে।

কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, তিনি রতনের ছোট বোন রত্নার মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাইসহ আবু মুছাকে বাঘে ধরে নিয়ে গেছে। তারা বনে যাওয়ার জন্য পাশ পারমিট গ্রহণ করেনি। বিষয়টি বন বিভাগকে অবহিত করেছি। রতন পশ্চিম কৈখালী গ্রামের বাঙালের ছেলে ও মিজানুর একই গ্রামের মনু মিস্ত্রির ছেলে। তারা দু’জনেই বিবাহিত।

বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, রতন ও মিজানুর নামের কোন ব্যক্তি মাছ কাঁকড়া ধরার অনুমতি (পাশ) নিয়ে বনে যায়নি। অবৈধভাবে তারা বনে প্রবেশ করে বাঘের আক্রমণে হতাহত হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। শুক্রবার দিনের বেলা এ বিষয়ে সবিস্তর খোঁজ খবর নিয়ে বলা যাবে।

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার ও বুধবার বিকাল ৫টার দিকে বাঘ দু’টি উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী ইউনিয়নের বিপরীত পাশে সুন্দরবনের চুনা নদীর পাড়ে ঘোরাফেরা করছিলো। বাঘ দু’টি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ের কাছে আসে। এ বিষয়ে স্থানীয় টাইগার টিমের সদস্যারা ও বন বিভাগ যৌথভাবে বুধবার সন্ধ্যায় মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply