চিকিৎসকের অবহেলায় নার্সের বাবার মৃত্যু: বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এক নার্সের বাবার চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেছে হাসপাতালের অন্যান্য নার্সরা।

বুধবার রাতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রায় আধা ঘণ্টা জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকে। এসময় বিক্ষোভকারীরা জরুরী বিভাগের চিকিৎসকে অবরুদ্ধ করেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের সিনিয়র স্টাফ নার্স রাজিবের বাবা বুলবুল (৫০) অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিউল্লাহ আরাফাত রাজিবের অসুস্থ বাবার কাছে যাননি। এর প্রায় ২০ মিনিট পর চিকিৎসক সফিউল্লাহ আরাফাত অসুস্থ বুলবুলকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেয়ার পর নার্স রাজিবের বাবা মৃত্যুবরণ করেন।

এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সকল নার্সরা বিক্ষোভ করেন। এসময় বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সেবা। বিক্ষোভে স্বাধীনতা নার্স পরিষদের সহ-সভাপতি নাসিমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী বেগমের নেতৃত্বে ৩৫/৪০জন নার্স অংশগ্রহণ করেন।

এই ব্যাপারে স্বাধীনতা নার্স পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসী বলেন, যেখানে আমরা নার্সরা প্রায় ২৪ ঘণ্টা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে আমাদের পরিবারের সদস্যরা বিনা চিকিৎসায় কেন মারা যাবেন? এই চিকিৎসা অবহেলার জন্যে চিকিৎসক সফিউল্লাহ আরাফাতের বিচার চাই।

এদিকে এই ঘটনায় তদন্তে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের তত্বাবধায়কের এক আদেশে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস সামসকে তদন্ত কমিটির সভাপতি করে সদস্য করা হয়েছে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল ও উপ-সেবা তত্বাবধায়ক গীতা রানী বিশ্বাসকে।

বিক্ষোভের বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, আমরা এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক সফিউল্লাহ আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারবো না। জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল চিকিৎসকরা আলোচনা করে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply