রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

|

রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও ও এসিল্যান্ড কর্তৃক ক্ষমতা অপব্যবহারের প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট দায়ের হয়েছে।

আজ রোববার রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও ও এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জনাব মোহাম্মদ শিশির মনির বগুড়ার শেরপুর নিবাসী মো. তৌহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের পক্ষে উক্ত আবেদনটি দায়ের করেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, বিগত ২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে আবেদনকারীর ডেইরি ফার্মে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড জনাব সুবির কুমার দাসের সাথে আবেদনকারীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই আহসান হাবিবের সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আবেদনকারীর আরেক ছোট ভাই একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক জনাব তারিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মিটমাট হয়ে যায়। কিন্তু ঘটনার ১ ঘণ্টা পর এসিল্যান্ড রায়গঞ্জ থানার ১০ পুলিশ সদস্যকে আবেদনকারীর শেরপুরের বাড়িতে পাঠান। পুলিশ সদস্যরা উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে খোজ খবর নেন। তারা আহসান হাবিবকে থানায় গিয়ে এসিল্যান্ডের কাছে আরও একবার সরি বলার জন্য বলেন। আহসান যাবেন বলে জানান। কিন্তু পুলিশ স্থান ত্যাগ করার সময় আবেদনকারীর ছোট ভাই আরিফুল ইসলামকে ধরে থানায় নিয়ে যান।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে উপজেলায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এসিল্যান্ড আরিফুলকে ২ মাসের কারাদণ্ড দেন। একই দিন এসিল্যান্ডের নির্দেশে আবেদনকারীর ভাই তারিকুল ইসলামকে বেদম প্রহার করা হয়। একই দিনে রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও তার প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রংপুর কারমাইকেল কলেজ, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের চিঠি পাঠান। তিনি আরও একটি চিঠি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন এবং সভাপতি বরাবর পাঠান। উক্ত চিঠিতে তিনি আবেদনকারীর ছোট ভাই আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

তিনি আরও জানান, মোবাইল কোর্টের আদেশের কপি ৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার বিধান থাকলেও ২৩ দিন পর তার আদেশ দেয়। ঘটনার দিন থেকেই আবেদনকারীর পরিবার প্রশাসনিক হুমকির শিকার হচ্ছেন।

উপর্যুক্ত ঘটনার প্রেক্ষাপটে আবেদনকারী জনপ্রশাসন সচিব, জেলা প্রশাসক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু এখনো ইউএনও এবং এসিল্যন্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। ঘটনা সমূহের বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি তিনি পরিবারের নিরাপত্তাও চেয়েছেন। আইনজীবী আশা করেন, দ্রুততম সময়ে আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply