ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তার্জাতিক আদালতে বিচার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ফিলিস্তিন

|

যুগের পর যুগ ধরে নিজভূখন্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিপীড়িত ফিলিস্তিনীরা অবশেষে পাচ্ছেন বিচার চাওয়ার সুযোগ। ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের এখতিয়ার আছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের। শুক্রবার সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে এ রায় দেয় -আইসিসি। এরফলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শিগগিরই তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, এমন প্রত্যাশা ফিলিস্তিনের। অন্যদিকে বিচারিক এখতিয়ার প্রত্যাখ্যান করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।

আইসিসির এ রায়ের ফলে, এবার ইসরায়েলের সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের পথ উন্মুক্ত হলো। তাই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

ফিলিস্তিন সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম মিলহিম বলেন, দখলকৃত অঞ্চলে নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার অধিকার পেলাম। গাজায় তিনটি যুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত ছিল তারা। আশা করবো, ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।

২০১৫ সালে আইসিসির সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে ফিলিস্তিন। এবার আইসিসির রায়ের পর ফিলিস্তিনি জনগণ ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে একধাপ এগুলো বলে মনে করছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেন, ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ অঞ্চলের নিরস্ত্র মানুষের ওপর যে নিপীড়ন তারা চালিয়ে আসছে এবার তার জন্য জবাবদিহিতা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।

তবে আইসিসির রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তার দাবি- রাষ্ট্রীয় মর্যাদাই নেই, এমন অঞ্চলের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের এখতিয়ার নেই আইসিসির।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ভুয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যদি আইসিসি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত করে, এটা ইহুদিবিদ্বেষের উদাহরণ হবে। ইহুদিদের ওপর নাৎসি গণহত্যা ও নৃশংসতা প্রতিরোধে গঠিত আদালত, এখন একটি ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিচ্ছে। অথচ গাজার সন্ত্রাসীরা রকেট হামলা চালিয়ে আমাদের শিশুদের পর্যন্ত হত্যা করে।

১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনের কাছ থেকে পশ্চিম তীর, গাজা আর জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। ২০১৫ সাল থেকে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত করছেন আইসিসির প্রধান কৌসুলি ফাতৌ বেনসুদা। ২০১৯ সালেই তিনি জানান, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরুর পক্ষে যৌক্তিক ভিত্তি আছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply