প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেছেন তাইজুলরা

|

ঢাকা টেস্টের পরাজয় এড়াতে যেমনটা প্রত্যাশা ছিল তাদের কাছে সেটিকেও ছাপিয়ে গেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৩ উইকেটে ৪১ রানে তৃতীয় দিন শেষ করা উইন্ডিজকে ভালোবাসা দিবসে আরও গাঢ়ভাবেই যেন জাপটে ধরলেন তাইজুল-রাহীরা। প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে বাংলাদেশ রান দিয়েছে ৫৭, উইকেট তুলে নিয়েছে ৩টি। প্রত্যাশার পারদটা যদি এরচেয়ে বেশিতে চড়ে থাকে তাহলেও হতাশ হওয়ার সুযোগ রাখেনি বোলাররা।

৬ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়া উইন্ডিজের ভরসা হয়ে তখনও টিকে ছিলেন জসুয়া সিলভা ও এনক্রুমা বোনার। সিরিজে বাংলাদেশের জন্য বড় দুই মাথাব্যথা। কিন্তু প্রথম সেশনের পর জসুয়াকে ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন তাইজুল। সৌম্যর তালুবন্দী হয়ে শেষ হয় তার ৫৩ বলে ২০ রানের ইনিংসটি। দুই ওভার পরেই আলঝারি জোসেপকে ফেরান তাইজুল। পরের ওভারের প্রথম বলেই গলার কাঁটা বোনারকে দারুণ এক ঘূর্ণিতে সরাসরি বোল্ড করে দেন নাঈম হাসান। ১২০ বলে ৩৮ রান করে শেষ হয় বোনারের ইনিংসটি। একই ওভারে রাকিম কর্নওয়েলকে ফিরিয়ে দিয়ে ১১৭ রানে উইন্ডিজকে গুটিয়ে দেন নাঈম।

চট্টগ্রামের মতো মিরপুর টেস্টেও রিভিউ নিতে ভুল করেছে বাংলাদেশ। এবার অবশ্য বড় ধরনের মাশুল দিতে হয়নি। যে কাইল মেয়ার্স ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিলেন, সেই মেয়ার্সকেই ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মুমিনুলরা রিভিউ না নেওয়ায় বেঁচে যান মেয়ার্স। দিনের ১২তম ওভারের প্রথম বলে মেয়ার্সকে এলবিডব্লু করে দীর্ঘশ্বাস লম্বা হতে দেননি আবু জায়েদ।

এর আগে, দিনের পঞ্চম ওভারেই আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন এই রাহীই। ওয়ারিকানকেও এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। বোলারদের প্রশংসার পাশাপাশি উইকেটকিপার লিটন দাসের আলাদা করে প্রশংসা না করলেই নয়। ব্ল্যাকউডকে ফেরাতে তাইজুলের দারুণ ডেলিভারির পাশাপাশি তার গ্লাভসের ক্ষিপ্রতার অবদানও তো কম নয়। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ব্ল্যাকউডকে স্টাম্পড করে দিয়েছেন লিটন।

টাইগারদের সামনে লক্ষ্যটা ২৩১ রানের। মিরপুরের পিচ এরই মধ্যে স্পিনারদের দিকে হাত বাড়াতে শুরু করেছে। বোলারদের বোলিং মার্কের জায়গায় পড়ে বল হঠাৎ লাফিয়ে উঠছে, নয়তো বাঁক নিচ্ছে। টাইগার ব্যাটসম্যানরা কতটা সাফল্যের সাথে সেটি সামাল দিতে পারছে সেটিই এখন দেখার বিষয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply