সিলেটে সিএনজি চালকদের মারধরে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

|

সিলেট প্রতিনিধি:

সিলেট নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে বন্দরবাজার এলাকায় কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মওদুদ আহমেদ। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। নিহত মওদুদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি হরিপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে যান ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ। সন্ধ্যায় কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে আসার পর সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমানের সাথে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় মওদুদের। একপর্যায়ে নোমানসহ আরও কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক মওদুদকে বেধড়ক মারধর করে।

এসময় মওদুদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান মুরাদ আহমেদ ও ইউনুছ আলী নামে দুই ব্যক্তি। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মওদুদের।

ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হন বন্দরবাজার ফাঁড়ির আইসি এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ততক্ষণে নোমান হাছনুসহ অন্য ঘাতকেরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ওসমানী হাসপাতালে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

রোববার নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিন্তু জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। অচিরেই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply