ফেসবুক লাইভে এসে যা বললেন মামুনুল!

|

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। ফাইল ছবি।

সোনারগাঁওয়ে এক নারীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে আটকের পরে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। এরপরে বিষয়টি নিয়ে নানা ব্যখ্যা দেন মামুনুল।

লাইভে মামুনুল বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশে একটা ঘটনা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আজ সেই ঘটনার বিবরণ দেয়ার জন্য আমি লাইভে এসেছি। আমার সাথে আমার বড় ভাইয়েরা উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আমাদের এই বক্তব্যের পর আর কোনো বিভ্রান্তি থাকবে না।

তিনি বলেন, আমি বেশ কিছু দিন ধরে অনেক টানা পরিশ্রম করার কারণে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল তাই আমি ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার স্ত্রী ছিল। আমার স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমার সাথে যিনি ছিল তিনি আমার বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী। সেখানে সম্ভবত একজন সার্কেল এসপি মোশাররফ সাহেব আমার কাছ থেকে বিবরণ শুনে নিশ্চিত হয়েছেন। যিনি আমার সাথে ছিলেন তিনি আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু তার সাথে আড়াই বছর সংসার করেছে তার দুটি সন্তান ও রয়েছে।

মামুনুল বলেন, একান্ত পারিবারিকভাবে কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতে আমি তাকে বিবাহ করি। শরীয়ত মতে তিনি আমার বিবাহিত স্ত্রী। পুলিশ আমার এই বক্তব্য শুনে সন্তুষ্ট হয়েছে। ওখানে কিছু সরকার দলীয় লোক ভিডিও ধারণ করেছেন এবং আমার সাথে অসদাচরণ করেছন। সেই ভিডিওর মাধ্যমে দেশবাসী আমার আমার বক্তব্য শুনেছেন। সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গেলে ওখানকার স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ উত্তেজিত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করতে আসে। তারপর আমি তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করি। তারা উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর করে। তারপর আমি তাদের শান্ত করে সেখান থেকে নিয়ে আসি।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে ৫০১ নাম্বার রুমে এ ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে নানাভাবে জেরা শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়ে সমর্থকদের সাথে যান মামুনুল হক। এরপরে তাকে নিয়ে বিক্ষোভ করে সমর্থকরা। তবে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এ হেফাজত নেতা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply