যুক্তরাজ্য-দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা ভ্যারিয়েন্টের সক্রিয়তায় দেশে বাড়ছে সংক্রমণ

|

যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা ভ্যারিয়েন্টের সক্রিয়তায় দেশে সংক্রমণ বাড়ছে আশংকাজনক হারে। ১৮৫টি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন, সিএইচআরএফ।

আইইডিসিআর বলছে, কার্যকর উদ্যোগ না নিতে পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে এ বছর। সেজন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা।

হু হু করে বাড়ছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দিনে শনাক্ত এরই মধ্যে সাত হাজার ছাড়িয়েছে, পরীক্ষা করা নমুনার ২২-২৩ শতাংশ মানুষই হচ্ছে কোভিড পজেটিভ। প্রতিদিনই অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে করোনা।

হঠাৎ করেই সংক্রমণ আবার বাড়লো কেন, তা জানতে বেশ কিছু ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন গবেষকরা। গেলো ডিসেম্বরে একটি নমুনায় প্রথম যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা। পরে আরও আটটি নমুনায়ও তা মিলে। আর ২৪ জানুয়ারি প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট মেলে বাংলাদেশে। ফেব্রুয়ারিতেও একই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। সবশেষ মার্চে ২২টি নমুনার ১৯টিতেই আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্য থেকে আসা ভ্যারিয়েন্টের সক্রিয় উপস্থিতি পেয়েছে সিএইচআরএফ’র গবেষকরা।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট করোনার দ্রুত সংক্রমণের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। বিশেষ করে জনবহুল বাংলাদেশের জন্য এটা বাড়তি উদ্বেগের কারণও বটে। তাই সরকারের নির্দেশাবলী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশংকাও থাকছে। বিশেষ করে বড় শহরগুলো যে বেশি ঝুঁকিতে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

একইসাথে যে ভ্যারিয়েন্টই হোক না কেন, নিয়মিত হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায়, মাস্ক পরা আর টিকা গ্রহণ করেই তা থেকে বাঁচা সম্ভব বলে আবারও স্মরণ করিয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply