লকডাউনে সচল থাকবে পণ্যবাহী ট্রেন

|

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের বিধি নিষেধ আরোপের পর যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখা হলেও কৃষিজাত পণ্যবাহী ও পার্সেল ট্রেন চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সকল ধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য ও পার্সেল মালামাল পরিবহনের সুবিধায় বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন রুটে কয়েকটি বিশেষ পার্সেল ফ্রেন্ড পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মন্ত্রী জানান, প্রতিদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা থেকে সিলেট, ভোর ছয়টা ৪৫ মিনিটে সিলেট থেকে ঢাকা, বিকেল তিনটায় চট্টগ্রাম থেকে সরিষাবাড়ী, ভোর সাড়ে পাঁচটায় সরিষাবাড়ী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এসব ট্রেন চলবে।

এছাড়া শনি, সোম ও বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটায় খুলনা থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত এবং রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিলাহাটি থেকে খুলনা পণ্যবাহী ট্রেন চলবে।

শনি, সোম ও বুধবার দুপুর ১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম থেকে ঢাকা এবং রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ঢাকা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের লাগাম টানতে গত ৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন সেবা।

ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত প্রতি কেজি ভাড়া পড়বে ১.১১ টাকা, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১.১৭৪ টাকা, চট্টগ্রাম থেকে সরিষাবাড়ী ১.৩৫ টাকা, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট ১.৩০২ টাকা, খুলনা থেকে চিলাহাটি ১.৩৬৭ টাকা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম থেকে ঢাকা প্রতি কেজি পণ্য পরিবহন খরচ পড়বে ১.৫৬ টাকা।

নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, বিশেষ পার্সেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য যেমন, শাকসবজি ও ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার ওপর ২৫ শতাংশ রেয়তি ও অন্যান্য সকল প্রকার চার্জ রহিত থাকবে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply