ফতুল্লায় গ্যাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ১১

|

নায়ারণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাসের চুলার পাইপলাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন নারী ও এক শিশুসহ এগারোজন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। অপর ছয়জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকায় মডেল গার্মেন্টস এর দক্ষিণ পাশে স্থানীয় মফিজুল ইসলামের তিনতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় বসবাসরত ভাড়াটের ফ্ল্যাট বাসায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোসহ দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। দগ্ধরা হলো: হাবিবুর রহমান, লিমন,সাথী, মীম, মাহিরা (৩ মাস), আলেয়া, সোনাহার, শান্তি, সামিউল, মনোয়ারা ও আরও একজন যার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদের মধ্যে লিমন, সাথী , মীম , মাহিরা (৩ মাস) ও আলেয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন। রাতে একটি পরিবারের সদস্যরা চুলার বার্নার বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালালে গ্যাসের পাইপলাইনের বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় এক শিশুসহ ছয়জন নারী ও চারজন পুরুষ আগুনে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শিশুসহ পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয় এবং ছয়জনকে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদরের উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা জানান, গ্যাসের লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শিশু নারীসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। এক নারীকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। শিশুসহ ওই নারীর অবস্থা আশংকাজনক। ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের সদস্যদের কোনো আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন থেকে করা হবে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ফতুল্লা অঞ্চলের ম্যানেজার প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের চুলার চাবি ছাড়া ছিলো বা চাবি লুজ থাকার কারণে গ্যাস নির্গত হয়ে জমাট বেঁধে গিয়েছিলো। এসময় চুলা ধরাতে গিয়ে ম্যাচের কাঠি ধরানোর সময় আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি গ্যাসের পাইপে লিকেজ বা রাইজারে কোনো সমস্যা নেই। তারপরও তদন্ত করে দেখা হবে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে।  


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply