ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ভোলায় একজন নিহত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে লোকালয়ে ঢুকছে জোয়ারের পানি। এর মধ্যে ভোলায় গাছ চাপায় মারা গেছেন একজন।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ভোলার লালমোহনের চরছকিনা এলাকায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়েন কৃষক আবু তাহের। হাসপাতালে নেয়া হলে মারা যান তিনি।

ডুবে গেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ও কুকরী মুকরী ইউনিয়ন। এরমধ্যে ঢালচর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। কুকরী মুকরীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত। এছাড়া মনপুরার নিম্নাঞ্চলে ঢুকছে জোয়ারের পানি।

ইয়াসের প্রভাবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক জনপদ। কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বইছে বিপদসীমার ওপরে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলার চরাঞ্চল। ডুবে গেছে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল। জোয়ারের পানি ঢুকছে বরগুনার নদী তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে।

এরইমধ্যে ডুবে গেছে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল ও সুন্দরবনের দুবলার চরসহ জেলেপল্লিগুলোর বেশিরভাগ। জোয়ারের পানি ঢুকছে বরগুনার নদী তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে। এসব এলাকার লোকজনকে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।