ফিলিস্তিনের সাথে ফের সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

|

ফিলিস্তিনের সাথে হামাস পূর্ববর্তী সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে বৈঠকের পর আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই যুদ্ধবিরতি টেকসই করার ওপরই যেন জোর দিলেন।

বুধবার বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্লিঙ্কেন এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এর মধ্যে দিয়ে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস যাতে লাভবান না হয় সেটা তারা নিশ্চিত করবেন। তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টা স্পষ্ট করেন এই মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ১১ দিন রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলার পর মিশরের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ২১মে রাতে। তবে ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে সেদেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে “আমেরিকা দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।

বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমেরিকা ফিলিস্তিনের সাথে তার সম্পর্ক আবার নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জেরুজালেমে তাদের কনস্যুলেট দূতাবাস খুলছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে সহায়তা করতে আমেরিকা অর্থসাহায্য করবে।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মি. ব্লিঙ্কেন অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় যান মঙ্গলবার এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমি এখানে বলতে চাই যে, প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি এবং ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এই সম্পর্ক গঠিত হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে। ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিরা স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, সুযোগসুবিধা ও মানবিক মূল্যবোধের বিচারে সমান বলে আমেরিকার বিশ্বাসের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক আমরা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

তিনি উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনিরা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল এবং মি. ট্রাম্পের মধ্য প্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। ক্ষমতা গ্রহণের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের জন্য সহায়তা আবার পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দেন, যা তার পূর্বসূরি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বন্ধ করে দেয়া দূতাবাসগুলোও আবার খোলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply