লো স্কোরিং ম্যাচের আধিক্য: পারফর্ম করছে না তরুণরা

|

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত অধিকাংশই ম্যাচই হয়েছে লো স্কোরিং। আবাহনীর মতো তারকাবহুল দল ব্যাট হাতে বিবর্ণ পারফর্ম করায় হতাশ কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সেই সাথে মুশফিক, রিয়াদ, সাকিব সহ জাতীয় আর ঘরোয়া ক্রিকেটের কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার ছাড়া বাকিরা ম্যাচ জয়ী পারফর্ম না করাটাও হতাশার, বলছেন সংশ্লিষ্ঠরা।

ঢাকা লিগে দুই ম্যাচে দুটি জয় পেয়েছে আবাহনী। পূর্ণ পয়েন্ট পেলেও মাঠের খেলায় বিবর্ণ ছিলো আকাশী নীলরা। ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৫ আর পারটেক্সের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে ৭২ রান করে জিতেছিলো আবাহনী। নাঈম শেখ, নাজমুল শান্ত, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক সৈকতের মত ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দলটির এমন পারফরমেন্স ভক্তদের মতই মেনে নিতে পারছেনা টিম ম্যানেজমেন্ট।

আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এই অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এই চিত্র কেবল আবাহনীর নয়, লিগের বাকি দলগুলোরও। দেড়শো রানের বেশি স্কোর হয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচে। অধিকাংশ ম্যাচের স্কোরই কোন মতে পেরিয়েছে শতরানের গণ্ডি। সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ছিলো ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতি। টি টোয়েন্টিতে রান উঠেছে যেন ওয়ানডে ম্যাচের গতিতে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিক, তামিম, রিয়াদ, সাকিবের পাশাপাশি আশরাফুল, মিজানুরের মত অভিজ্ঞরাই খেলেছেন ম্যাচ জয়ী নক। কিন্তু লিটন, সৌম্য থেকে শুরু করে মোসাদ্দেক, আফিফ, আকবরদের মতো তরুণরা এখনও দেখাতে পারেননি নিজেদের প্রতিভার ঝলক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক এই আসরে যা ভাবিয়ে তুলছে বিসিবি সংশ্লিষ্ঠদের।

তবে আশাবাদী খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, লিগের এখনও আরও অনেক রাউন্ড বাকি। সামনের ম্যাচগুলোতে জ্বলে উঠবে ব্যাটসম্যানরা, হবে হাই স্কোরিং ম্যাচ- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply