যাত্রী পরিবহণে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া রুটে যুক্ত হলো নতুন ২ জাহাজ

|

চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ও হাতিয়া রুটে যুক্ত হয়েছে নতুন ২টি জাহাজ। গত ৬ মে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাহাজ দু’টি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এতে সাগর পথে যাতায়াতে ঝুঁকি কমবে বলে আশা করছে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ দু’টির বাসিন্দারা। ভোগান্তি লাঘবে এবার জরাজীর্ণ জেটি সংস্কার চান তারা। তবে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ না হলে তা সম্ভব নয়, বলছে বিআইডব্লিউটিসি।

চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি’র নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি তাজউদ্দিন আহমদ। এটিতে আসন সংখ্যা ৮শ’।

অন্যদিকে আরেক নতুন জাহাজ এমভি আইভি রহমান চট্টগ্রামের কুমিরা গুপ্তছড়া থেকে সন্দ্বীপ রুটে চলাচল শুরু করবে কয়েক দিনের মধ্যে। এটিতে আসন সংখ্যা ৫শ’।

প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন দুটি জাহাজ যুক্ত হওয়ায় সাগর পথে যাতায়াত ঝুঁকিমুক্ত হবে বলে মনে করছেন হাতিয়া ও সন্দ্বীপ রুটের যাত্রীরা। জাহাজে ওঠা নামার জরাজীর্ণ জেটিও দ্রুত সংস্কারের দাবি তাদের।

অত্যাধুনিক জাহাজ দু’টি স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম বলছে বিআইডব্লিউটিসি। বছরে পরিবহন করা যাবে অন্তত: ৬ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী।

এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা বলেন, জাহাজ চলাচল হলে তাদের সুবিধা হবে তবে জেটি খারাপ থাকায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওঠানামায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। জেটি নির্মাণ নাহলে এই সুবিধা পুরোপুরি মানুষ গ্রহণ করতে পারবে না।

দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি লাঘবে জাহাজ দু’টি চলাচল শুরু করলেও, সহসা শুরু হচ্ছে না জেটি সংস্কারের কাজ।

এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম (কমার্শিয়াল) গোপাল চন্দ্র মজুমদার জানান, এই জেটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ করলে তারপর জেটিসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply