নাটোরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ, বিচারক গ্রাম্য মাতব্বররা

|

নাটোরে প্রতিবেশী যুবকের কাছে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। ভুক্তভোগীর অভিযোগ একই এলাকার বখাটে মিলন হোসেন বিরুদ্ধে। বিষয়টি আপস মীমাংসার কথা বলে টালবাহানা করে সপ্তাহ পার করেছে গ্রাম্য মাতব্বররা। অন্যদিকে ঘটনার পরপরই কৌশলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

ভুক্তভোগী জানায়, দোকানে থেকে ফেরার পথে মিলন তার মুখ চেপে ধরে এবং জোর করে তুলে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, ছেলের পরিবার প্রভাবশালী, ফলে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে তারা সন্দিহান। তাদের অভিযোগ, চাপ প্রয়োগ করে একঘরে করে দেয়া হয়েছে তাদের।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশকে না জানিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন গ্রাম্য মাতব্বররা। দু’পক্ষকে বসানো হয় গ্রাম্য শালিসে। সিদ্ধান্ত হয় দু’জনের বিয়ে দেয়ার। যদিও তা মেনে নেয়নি মেয়ের পরিবার।

অন্যদিকে অভিযুক্তের বাবা বলছেন, কিছু যাচাই-বাছাই না করেই মেয়ের পরিবার ও এলাকার মাতব্বররা জোরপূর্বক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে।

গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে বিচার না পেয়ে অবশেষে ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ৩ জুন ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিলনকে আসামি করে মামলা করেন মেয়ের বাবা। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে জানালেও পুলিশের কোনো কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply