ট্রুডোকে ‘উপেক্ষা’ করছে ভারত!

|

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এখন ভারত সফরে, এ খবর পুরনো। দিনভর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর আলোচনা, ভারত সফররত কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ‘উপেক্ষা’ করা হচ্ছে! বিতর্কের পালে হাওয়া দেয়ার মতো ঘটনাও নেহায়েত কম নয়। স্ত্রী সোফি ও তিন সন্তানকে নিয়ে ভারত পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে ট্রুডোকে স্বাগত জানাতে যাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অবশ্য, বিষয়টা এমনও নয় যে প্রটোকল অনুযায়ী বিমানবন্দরে যেতে হতো মোদিকে। তবু কেন বিতর্ক! ঘুরেফিরে আসছে মোদিরই নাম। বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন ভারতে আসেন, প্রোটোকল ভেঙে তাদের স্বাগত জানাতে যাওয়াটা প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রায় রুটিনে পরিণত করে ফেলেছেন।

গত মাসের কথাই ধরুন না, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছুটে গিয়েছিলেন মোদি। ২০১৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে স্বাগত জানানোর সময়ও তাই করেছিলেন। ছুটে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও স্বাগত জানাতে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মোদির না যাওয়াটা আরও বেশি চোখে লাগছে কারণ কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ কিংবা তার প্রতিমন্ত্রীদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ছিলেন শুধু কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন জুনিয়র মন্ত্রী- গজেন্দ্র সিং। মাত্র কিছুদিন হলো প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েছেন তিনি। সম্ভবত আর কোথাও কানাডার তরুণ ও জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর এই উপেক্ষা জুটেনি।

অনেকেই বলছেন, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘খালিস্তান’ আন্দোলনের সমর্থকদের প্রতি কানাডা সরকারের মনোভাবই এমন উপেক্ষার কারণ।
জাস্টিন ট্রুডোর ক্যাবিনেটের কয়েকজন শিখ মন্ত্রী প্রকাশ্যেই কানাডাতে ‘খালিস্তান’ আন্দোলনকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন যা ভারতের জন্য অস্বস্তিকর।

কেউ কেউ আবার আঙ্গুল তুলছেন জাস্টিন ট্রুডোর বিচিত্র সফরসূচীর দিকে। সাধারণত সরকার প্রধানদের ভারত সফর শুরু হয় দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে। এরপর থাকে আগ্রা, আহমেদাবাদ, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ বা ব্যাঙ্গালোরের মতো শহরগুলোতে সফর। কিন্তু জাস্টিন ট্রুডো করেছেন উল্টো। শনিবার মুম্বাই দিয়ে শুরু করেছেন ভারত সফর। রবিবার তিনি কাটিয়েছেন আগ্রায়, সোমবার আহমেদাবাদে। মঙ্গলবার আবার মুম্বাই হয়ে বুধবার অমৃতসরে যাবেন। সফরের শেষ দুটো দিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার শুধু বরাদ্দ রাখা হয়েছে দিল্লির জন্য! অনেক কূটনীতিক বলছেন, জাস্টিন ট্রুডোর সফরসূচিতেই গলদ!

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply