ইরাকে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে রকেট হামলা

|

বুধবার (৯ জুন) ১৩টি রকেট আছড়ে পড়েছে পশ্চিম ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে। বিপুল পরিমাণ মার্কিন বাহিনী অবস্থান করছে এই ঘাঁটিতে। ঘটনায় সেনা বাহিনীর কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এক মার্কিন ঠিকাদারের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

পশ্চিম ইরাকের এই ঘাঁটিতে বিপুল পরিমাণ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এছাড়াও যৌথ বাহিনীর আরও বেশ কিছু দেশের সেনাও সেখানে আছে। ইরাকের সেনা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে এই ঘাঁটিতে। বুধবার সেই সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করেই পর পর ১৩টি রকেট ছোড়া হয়।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আট কিলোমিটার দূর থেকে রকেট হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে মার্কিন কর্মকর্তারা। কারা এই হামলা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রকেট হামলা শুরু হওয়ার পরে এক মার্কিন ঠিকাদার প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় খুঁজছিল। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

এই মাসেই উত্তর ইরাকে মার্কিন দূতাবাস এবং সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল। তবে বুধবারের রকেট হামলা গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

ইরাকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫,২০০ সৈন্য রয়েছে৷ তবে তা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে পেন্টাগন৷ এর অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প থেকে এরিমধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারও করা হয়েছে৷

বুধবারের ঘটনার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পেন্টাগন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বাইডেন জানিয়েছেন, যারা এ কাজ লাগাতার করে চলেছে, তাদের এবার উত্তর দেওয়া হবে।

পেন্টাগনও একই কথা জানিয়েছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছে, কারা এ কাজ করেছে, তা খতিয়ে দেখছে তারা। বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে। ইরাকের প্রশাসনের দায়িত্ব আরও তথ্য দেওয়ার। সব তথ্য হাতে এলেই এর জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছর ইরানের জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পর থেকে ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রায়ই রকেট হামলা চালানো হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাগদাদ বিমান বন্দরের কাছে এক ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের এলিট ফোর্স কুদস’র জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।

কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পর ইরানের শীর্ষ নেতা খামেনি বলেছিলেন, এই হামলার পেছনে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়া হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply