ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে নাশকতার দায় স্বীকার করলেন সাবেক মোসাদ প্রধান

|

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদ্য সাবেক প্রধান ইয়োসি কোহেন স্বীকার করেছেন, ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে নাশকতা চালিয়েছিল মোসাদের এজেন্টরাই। ইরানের পরমাণু আর্কাইভ থেকে নথিপত্র চুরির ঘটনাও সবিস্তারে বর্ণনা করেন ওই কর্মকর্তা। তিনি স্বীকার করেছেন, ২০১৮ সালে একটি অভিযানে মোসাদ ইরানের হাজার হাজার গোপন ফাইল সরিয়েছিল।

দুই বছর ধরে পরিকল্পনা করা নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে অপারেশনের কাজে তারা নিয়োগ করেছিলো ২০ জন এজেন্টকে। কোহেন বলেন, ওই বিশ জনের কেউই ইসরায়েলি নাগরিক নন। তারা আর্কাইভ রুমে ঢুকে ৩০টি সিন্দুক ভেঙে ফাইলগুলো বের করেছিল। বিবিসির একটি খবরে বলা হয়েছে, আর্কাইভ থেকে তথ্য চুরির ব্যাপারটিই ছিল তার সাক্ষাৎকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ইসরায়েলি চ্যানেল টুয়েলভের সাংবাদিক ইলানা ডায়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কোহেন এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ইরানের গোপন ফাইল রাখার ওই জায়গা তিনি এতো ভালোভাবে চেনেন যে সাক্ষাৎকার গ্রহীতাকে তিনি সেখানকার ঘূর্ণায়মান সেন্ট্রিফিউজের কাছে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন।

নাতাঞ্জসহ অন্যান্য পরমাণু কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরান দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলকে দোষারোপ করলেও এর আগে ইসরায়েল এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি।

সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি গুপ্ত ঘাতকের হামলায় নিহত ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই বিজ্ঞানী অনেকদিন ধরেই মোসাদের লক্ষ্য ছিল। কারণ, তার গবেষণা ইসরায়েলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। তিনি বলেন, যখন কেউ বিপদের কারণ হয়, তখন তাকে সরিয়ে দেওয়াই ইসরায়েলের দায়িত্ব।

গত নভেম্বরে হামলায় নিহত হওয়া ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর জন্য ইরান প্রথম থেকেই ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছিল।

এর আগে ইসরায়েলি সরকার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বললেও প্রকাশ্যে এ ধরনের বিষয়ে কথা বলেনি। হঠাৎ কেন এমনসব সংবেনশীল তথ্য তারা প্রকাশ করলো তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply