মিথ্যা পরিচয়ে ত্ব-হা’র স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি; প্রকৃত মেহেদি হাসানের জিডি

|

মেহেদি হাসান নামের এই ব্যক্তির নাম ও ছবি ব্যবহার করে ইমোতে আবু ত্ব-হার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এ বিষয়ে জিডি করেছেন মেহেদি।

মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে নিখোঁজ থাকা ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের প্রথম স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে যার ছবি ও নাম ব্যবহার করা হয়েছিল সেই মেহেদি হাসানের সাথে কথা হয়েছে যমুনা নিউজের। রাজধানীতে বসবাস করা মেহেদি পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। এ সংক্রান্ত নিউজ দেখে শুক্রবার যমুনা টেলিভিশনে যোগাযোগ করেন মেহেদি হাসান। পরে তাকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেয়া হয়।

দুপুরে কাফরুল থানায় করা জিডিতে মেহেদি হাসান উল্লেখ করেন, অদ্য ১৮/০৬/২০২১ ইং তারিখে রাত্র ১:৪২ ঘটিকার সময় আমার বর্তমান ঠিকানায় কাফরুল থানাধীন উত্তর কাফরুলস্থ বাসা ৫৭৩/২, ৪র্থ তলা, ফ্ল্যাট ৩/সি বসে ফেইসবুক চালানোর সময় হঠাৎ দেখিতে পাই আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ‘আবু ত্ব-হা আদনানের স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ চাওয়া মেহেদির অস্তিত্ব পায়নি পুলিশ’ লিখে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদটি ফেসবুক, অনলাইন ও ইউটিউবে প্রচার হয়। 

তিনি লেখেন, ‘Mehdi Hasan’ এই ফেইক আইডি থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে যা আমার নিজস্ব আইডি নয়। উপরোক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে মেহেদি হাসান যমুনা নিউজকে জানান, কে বা কারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে আমার নাম, ছবি ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করলো বুঝতে পারছি না। আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে চাপে পড়েছি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগার কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে আইনের আওতায় আনা হোক।

উল্লেখ্য, মেহেদি হাসান পরিচয় দিয়ে ইমোতে আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তবে সেই পরিচয়টি তখন শনাক্ত করতে পারেনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

এ বিষয়ে আদনানের বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম অনন্যা যমুনা টেলিভিশনকে জানান, নিখোঁজ হওয়ার পরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় ইন্টারনেটভিত্তিক নম্বর (০৯৬৯৬৯৭৭০৬৪৭) থেকে আমার ভাবি আবিদা নুরের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। নাম্বারটি আমার ভাইয়া ব্যবহার করতেন। কিন্তু বহুদিন থেকে সেটি বন্ধ ছিল। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নিজেকে মেহেদি হাসান বলে পরিচয় দেন এক ব্যক্তি। বলেন, আদনানসহ অন্যরা তাদের কাছে আছে। টাকাপয়সা দিলে ছেড়ে দেয়া হবে। এসময় তিনি ইমো নাম্বার খুলতে বলেন। পরে ফোন কেটে দেন। আমরা বার বার চেষ্টা করলেও ওই ফোনে কল ঢুকেনি। ভাবির নাম্বারে আমি ইমো খুললে ওই ব্যক্তি ইমোতে মেসেজ করেন এবং সেখানেও তিনি একই ধরনের কথা বলেন ও টাকা চাওয়ার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলেন।

এ সংক্রান্ত স্ক্রিনশট যমুনা নিউজের কাছে আছে। এ প্রসঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বৃহস্পতিবার যমুনা নিউজকে বলেন, ইন্টারনেটভিত্তিক নম্বর (০৯৬৯৬৯৭৭০৬৪৭) থেকে নিখোঁজ ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রীর কাছে ফোন আসা সেই মেহেদি হাসানকে ট্রেস করা সম্ভব হয়নি। তার কোনো অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি। এছাড়ার ত্ব-হার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে মেসেজ সিন হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সবশেষ, নিখোঁজের ৮ দিন পর শুক্রবার দুপুরে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply