ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ না মেলায় ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন কনস্টেবল শাওন

|

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীর ফুলগাজীর এক নারী চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তৌহিদুল ইসলাম শাওন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ধর্ষণে ওই নারী গর্ভবতী হয়েছে মর্মে ফুলগাজী থানায় কনস্টেবল শাওন সহ আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ঐ নারীর মা। এরপর ফুলগাজী থানা পুলিশ ৪ আসামীকে গ্রেপ্তার করে। অন্য ৩ আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও কনস্টেবল শাওন এতদিন ছিলেন জেল হাজতে।

এদিকে এজহারে ধর্ষণের উল্লেখিত তারিখ ও ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ না পাওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল শাওনকে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নেছা জামিন দেন। অভিযোগ রয়েছে ওই নারী চার বছর আগে অন্য একজনের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের মামলা সাজিয়েছেন। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সন্তানটির পিতার পরিচয় নিয়ে।

জানা যায়, ফুলগাজী উপজেলার রাজিয়া সুলতানা ববি গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভিক্টিমের বা কুসুম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন পুলিশ কনস্টেবল তৌহিদুল ইসলাম শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ফজলুক হক ছোটন বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর মা কুসুম ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, শাওন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে তার সাথে সখ্যতা এবং একদিন ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে ফেনী শহরের কোন একটি বাসায় নিয়ে ফলের জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আরও কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। এ মামলায় অন্য আসামীরা হলেন কনস্টেবল শাওনের বাবা বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু, ও মামা ফিরোজ আহম্মদ বাবু। এজহারে উল্লেখিত ধর্ষণের তারিখে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল চাকরিতে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া ডিএনএ টেস্টে শাওনের সাথে নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। যার কারণে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নেছা কনস্টেবল শাওনকে জামিন দেন।

এদিকে বাদি পক্ষের আইনজীবী নুরুল আফসার মুকুল দাবি করেন ডিএনএ টেস্টে অসঙ্গতি আছে। আমরা ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, তাহলে এই সন্তানের পিতা কে? তা সরকারকে বের করতে হবে। প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করার দাবি করেছেন তিনি।

শুধু এ মামলাটিই নয়, ২০১৭ এই কিশোরী যখন ১০ বছরের শিশু তখন শিশুটির বাবার
বন্ধু সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করলে সেই মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিও ৩৩ মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত করা হয়। সেই মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে ফেনীর নারী ও শিশু আদালতে।

সোহরাব হোসেন বলেন, একই নারীর আরেকটি সাজানো ধর্ষণ মামলায় ৩ বছর জেল খেটেছি আমি। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারীর বাবা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply