দেশে অনলাইন ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ আইন নেই; চলছে নীতিমালার অধীনে

|

ছবি: প্রতীকী

বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার পূর্ণাঙ্গ আইন নেই। নীতিমালার অধীনে ব্যবসা করছেন উদ্যোক্তারা। তবে আইন না থাকার কারণে ই-কমার্সের নামে যে যার মতো ব্যবসা করছেন।

বিদ্যমান ই-কমার্স নীতিমালা অনুযায়ী ভোক্তারা প্রতারণার শিকার হলে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে যেতে পারেন। তবে ভারত, চীন’সহ নানা দেশে পৃথক আইনের অধীনে কমিশন নিয়ে চলছে ই-কমার্স ব্যবসা। তাই ই-কমার্স মনিটরিংয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গঠনের তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।

নাসরিন সুলতানা পিংকি নামে একজন ই-কমার্স উদ্যোক্তা বলেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যবসা করেন। একই সাথে তিনি নিজেও একজন অনলাইনের ক্রেতা। ই-কমার্স ব্যবসায় মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি বলে মত তার।

ক্রেতাদের সুরক্ষায় এবং বিক্রেতাদের পেমেন্ট সুরক্ষায় আইনি ব্যবস্থা এখনও নেই। ২০১৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেতা প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিদফতরে যেতে পারেন। তবে তা যথেষ্ট নয়। এমনকি দেশে বসে বিদেশ থেকে পণ্য কিনে প্রতারিত হলে তার প্রতিকার পাবার কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশে।

বেসরকারি হিসাবে ২০২০ সালে ১৬ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল ই কমার্স খাতে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সেই ব্যবসা বেড়েছে ৩০০ গুণ। ভারত ও চীনে পৃথক আইনের অধীনে রয়েছে পৃথক পৃথক নীতিমালা ও কমিশন। সেই কমিশন ই-কমার্স ব্যবসা মনিটরিং করে থাকে ভোক্তাদের সুরক্ষায়।

ই ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ক্রেতা বা ভোক্তা যাতে প্রতারিত না হয় সে জায়গা থেকে আমরা কিছু পলিসি নিবো যা বাংলাদেশ ব্যাংক রিভিউ করবে।

ই ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স কীভাবে পরিচালিত হবে সেসবের নীতিমালার একটা ড্রাফট তৈরি করে দিয়েছি। এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে সকলেই উপকৃত হবে।

রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট সেবার গতি গ্রামের তুলনায় ভালো। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ১০ শতাংশ ক্রেতা। ১০ কোটির বেশি মানুষ মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। করোনাকালে বাংলাদেশেও অনলাইন ব্যবসা বেড়েছে।

বাংলাদেশে আলিবাবা, অ্যামাজন, গুগল ও ফেসবুকের মত ই-জায়ান্টরা ব্যবসার জন্য কাজ শুরু করেছে। তাই সরকারও ই-কমার্স আইন করতে কাজ করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্স নিয়ে আমরা একটা পরিপূর্ণ আইন নিয়ে কাজ করছি। এসওপিটাও রেডি হয়েছে। ই-কমার্সটা দরকার। আমরা চাইছি মানুষ যেন প্রতারিত না হয়।

ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতার কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে দীর্ঘ সময় পর পণ্য দেয়া বা টাকা ফেরত দেয়ার পলিসির সাথে ই-কমার্স ব্যবসা অসঙ্গতিপূর্ণ।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply