সিলেট অঞ্চলের গান নয়া দামান শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এবার নয়া দামানের তালে মেতেছে কোরবানির পশুর হাটও। মানুষের মুখে মুখে ফেরা সেই গানের ‘নয়া দামান’র নামে এসেছে কোরবানীর গরু। শুধু নয়া দামানই না সারাদেশে এমন নানা বাহারী নামের আকর্ষণীয় সব গরু মাতাবে এবারের কোরবানির বাজার।
কোনোটির নাম গানের নামে, কোনোটির আবার নায়ক বা ভিলেনের নামে। বিশালাকৃতির এবং আকাশচুম্বী দামের এসব গরুর দরদাম চলছে খামার থেকেই। কারণ করোনা মহামারিতে বেশিরভাগ খামারিই যেতে চান না হাটে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের খামারি আবুল কাশেম কোরবানির বাজারের জন্য তৈরি করেছেন কালো রঙের নয়া দামান গরুটিকে। ৩০ মণ ওজনের নয়া দামানের দাম হাঁকছেন তিনি ১৫ লাখ টাকা। এরই মধ্যে এক ক্রেতা ৮ লাখ বলেছেন। করোনায় হাট হবে কি না জানা নেই, তাই বাড়ি থেকেই চলছে দর কষাকষি।
খামারি আবুল কাশেম বলেন, আমার এই গরুটির মত এতো বড় গরু অত্র অঞ্চলে আর নেই। যদি খামার থেকেই অথবা অনলাইনে এটিকে বিক্রি করতে পারি তবে আমার খুব সুবিধা হয়।
এদিকে টাঙ্গাইলের বাসাইলের মিরিকপুরের জিসান আহমেদ আরেক কাঠি সরেস। কোরবানির পশুর বাজারে রীতিমতো ঝড় তুলে ফেলেছেন তার নায়ক আর ভিলেন দিয়ে। একটির নাম রেখেছেন বাংলা সিনেমার রূপালি পর্দা কাঁপানো তারকা শাকিব খানের নামে আর আরেকটির নাম রেখেছেন তারকা ভিলেন ডিপজলের নামে। জিসান আহমেদ লকডাউনে বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চাইছেন গরু দুইটি। শাকিব এবং ডিপজলের দাম চাইছেন ১৩ লাখ করে।
জিসান আহমেদ ও তার সাথীরা জানান, শাকিব খান নাম রাখা গরুটির ভাইয়ের নাম ছিল মান্না। সে অনুযায়ীই তারা এর নাম রেখেছেন শাকিব খান। লকডাউনের আগে তাদের খামারে অনেক ক্রেতাই আসছিলেন তবে বর্তমানে ক্রেতা সমাগম কমে এসেছে। এই অবস্থায় তারাও চাইছেন গরু দুইটি অনলাইনে খামার থেকেই বিক্রি করতে।
ঢাকার ধামরাইয়ের ললিতনগরের একটি খামারে বড় করা হয়ে আরও দুই বাহারী গরু। যাদের চলাফেরা বেশ নবাবী ধাঁচের। খামারী জানালেন নবাবী ধাঁচের চলাফেরা দেখে তিনি এদের একটির নাম দিয়েছেন লাল বাহাদুর আর অন্যটির কালো বাহাদুর।
খামারী জানান, লাল বাহাদুর দেশীয় জাতের হলেও, কালো বাহাদুর হলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। তার খামারে হেয়ারফর্ড, ব্রাহমাসহ নানা জাতের গরু লালন-পালন করা হচ্ছে কোরবানী উপলক্ষে।
Leave a reply