অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সংশয়ে এরশাদ

|

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মনে করেন, সরকার চায় না বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসুক। তবে তারা আসুক বা না আসুক, এবারের সংসদ নির্বাচন ৫ জানুয়ারির মতো হবে না। শক্তভাবেই মাঠে থাকবে জাতীয় পার্টি। যদিও খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার কারণে রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।

৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ৬ বছরই কারাগারে কাটিয়েছেন এরশাদ। ক্ষমতার ভেতর-বাইরে থেকে দেখেছেন অনেক উত্থান-পতন। বললেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মেঘাচ্ছন্ন, তবে এর মাঝেও আছ কিছু উজ্জ্বল দিক।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মনে করেন, সামনের দিনের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের ঘটনা। তার মতে, সংঘাত পরিহার করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে খালেদা জিয়াহীন বিএনপি কতোটা কার্যকর রাজনীতি চালিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান এরশাদ।

এরশাদ বলেন, একজনের সুনামে দল চলে-বিএনপিতে এমন নেতৃত্ব নেই। তারেক রহমানও দেশে নেই, খালেদা জিয়াও কারাগারে। দলের নেতাকর্মীরা ভবিষ্যত কর্মসূচি নিয়ে সন্দিহান। নেতৃত্ব কে দিবে? সে নেতৃত্ব জনগণ গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। তারা কীভাবে নির্বাচনে যাবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের মতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’দলের ওপরই অসন্তুষ্ট মানুষ। তবুও বিএনপি’সহ সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সরকার কতোটা আগ্রহী, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। বলেন, সরকার চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছাড়া বিএনপি’র বিকল্পও নেই। ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করলেই জায়গা হবে জেলখানা।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনেকটা ফাঁকা মাঠেই জয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার বিএনপি আসুক বা না আসুক ক্ষমতাসীনরা আর সে সুযোগ পাবে না বলে জানান এরশাদ। বললেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক ভবিষ্যত রাজনীতির সমীকরণ মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপা। এবার আর ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হবে না, নির্বাচন ২ দল হোক, অথবা ৩ দল, আমরা তো আছি।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি মনে করেন, নির্বাচনী বছরে অপেক্ষা করছে নানা অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা। পাল্টে যেতে পারে রাজনীতির অনেক চেনা ছকও।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply