আফগানিস্তানে সংঘাত, কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত

|

নিউ ইয়র্ক টাইমসের ছবি।

আফগানিস্তানে তালেবান-সরকারি বাহিনীর সংঘাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাধারণ মানুষ। উত্তরাঞ্চলে সংঘাত বেড়ে চলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। সরকারের তরফ থেকে সর্বোচ্চ প্রতিরোধের ঘোষণা এলেও আস্থা রাখতে পারছে না উদ্বিগ্ন জনগণ। পরিস্থিতির অবনতিতে কান্দাহারের ভারতীয় কনস্যুলেট থেকে অর্ধশত কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে নয়াদিল্লি।

গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাঞ্চলে চলছে তালেবান-আফগান বাহিনীর লড়াই। কুন্দুজ প্রদেশের বেশিরভাগ জেলা এখন তালেবানদের দখলে। জেলাগুলো পুনরুদ্ধারে চলছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর একের পর এক অভিযান।

আফগান সেনা কমান্ডার দাবি করছেন, এবারের অভিযানে হতাহত বেশ কয়েকজন তালেবান নেতা। শিগগিরই তালেবানদের দখল থেকে সব এলাকা উদ্ধার করা হবে বলেও তার প্রত্যাশা।

কুন্দুজের বাসিন্দারা যেন আতঙ্কিত না হয়। মাতৃভূমি সুরক্ষায় প্রস্তুত আফগান বাহিনী। গত কয়েকদিনে সন্ত্রাসীরা কুন্দুজে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী শক্তভাবে প্রতিহত করেছে। শত্রুপক্ষের ব্যাপক হতাহত হয়েছে।

সরকারি বাহিনীর জোরালো তৎপরতার পরও উত্তর ও পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলো এখনও তালেবানদের নিয়ন্ত্রণেই। নিরাপত্তা বাহিনীর আশ্বাস ভরসা দিতে পারছে না সাধারণ মানুষকে। সরকার আর তালেবান গোষ্ঠীর আলোচনায় সমাধান মিলবে বলে আস্থা নেই জনগণের। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি চাপ দেয়ার আহ্বান অনেকের। কাবুলে পালিয়ে যাওয়া একজন বলছেন, তারা একে অপরের সাথে লড়ছে, মাঝখানে চরম দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তায় চলছে সাধারণ মানুষের জীবন।

গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের ঘোষণায় আরও দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেনাদের ফিরিয়ে নিলেও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে সমর্থন দেয়ার কথা জানান। জটিল মুহূর্তে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পরিস্থিতির অবনতিতে কান্দাহারের ভারতীয় কনস্যুলেট থেকে কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। অবশ্য মিশন বন্ধ করেনি নয়াদিল্লি। কর্মরত আফগান নাগরিকরা চালু রাখবেন দূতাবাস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply